চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী সুবিধাভোগীদের কাছে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নামে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ডেকে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা আদায় করেন ওই ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। তবে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানার পর অতিরিক্ত টাকা আদায় তিনি বন্ধ করে দেন।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কানসাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮৮টি পরিবার বসবাস করছে। সেখানে বসবাসকারীদের বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় আরম্ভ করেন মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। তবে তিনি ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা করে আদায় করতে আরম্ভ করলে সচেতন সুবিধাভোগীরা বাধা দেন।
চেঁচামেচির একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি নির্ধারিত ৪২ টাকা আদায় আরম্ভ করেন। পরে এ নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি যাদের কাছে অতিরিক্ত কর আদায় করেছেন তাদের টাকা ফিরিয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়েছেন তারা বাড়ির কাগজপত্র, আইডি কার্ড, মোবাইল ফোন ও ১৫০ টাকা করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা অফিসারের কথামতো এসব নিয়ে আসি।
কিন্তু ১৫০ টাকা দেয়ার পর ওই অফিসার বলেন, এখন আপনাদের নাম কম্পিউটারে দেয়া হলো চলে যান। আমরা গিয়ে আপনাদের কাগজগুলো দিয়ে আসব। এ সময় বিষয়টি তারা জানতে পারেন, তাদের কাছে ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অপর এক ভুক্তোভোগী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে তাদের বাড়ি দিলেও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে এসব সরকারি চাকরিজীবী। এদের শাস্তি দেয়া দরকার।
এ ব্যাপারে মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে ৪২ টাকা কর নিচ্ছি এবং কিছু কাগজপত্র আনতে যে খরচ হয়েছে সেজন্য তাদের কাছে ১০০ টাকা করে চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা যদি চান তাহলে তাদের টাকা ফেরত দিব। এরপর তিনি যাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছিলেন তাদের ডেকে টাকা ফেরত দেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছে কোনো ধরনের টাকা কেউ নিতে পারবে না। যদি এমনটি কেউ করে থাকে তা জেনে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়িপ্রাপ্তদের কাছে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকা নেয়া যাবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য