-->
শিরোনাম

কুবি শিক্ষককে আইনি নোটিশ

কুবি প্রতিনিধি
কুবি শিক্ষককে আইনি নোটিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল হায়াতের কাছে ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। আইনি নোটিশে ওই শিক্ষকের স্ত্রী দাবি করেছেন, দেনমোহর ও বিভিন্ন অজুহাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এসব টাকা নিয়েছেন আবুল হায়াত।

 

শিক্ষক আবুল হায়াত জানিয়েছেন, আইনগতভাবে তাদের বিচ্ছেদ না হলেও তিনি ও তার স্ত্রী আলাদা আছেন। তিনি বলেন, দূর থেকে যখন এমন অবাস্তব কিছু করে তখন তা মেনে নেয়া কষ্টকর। লিগ্যাল নোটিশে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

 

গত ৪ জুলাই স্ত্রী কানিজ ফাতেমার পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম সাইফুল আলম এই আইনি নোটিশ পাঠান। আইনি নোটিশে এম সাইফুল আলম বলেন, ‘নোটিশ গ্রহীতা (আবুল হায়াত) ২০১২ সালের ৮ জুন ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক রেজিস্ট্রেশন কাবিনে নোটিশ দাতার (কানিজ ফাতেমা) পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ হয়।

 

বিবাহ অনুষ্ঠানের পূর্বে আপনি, আপনার পিতা ও মাতার সাথে নোটিশ দাতার পিতার দেনমোহর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। আপনার উভয় পক্ষের সম্মতিতে দশ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। কিন্তু আপনি প্রতারণা করে কাজী সাহেবকে মাত্র ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দেনমোহর লিখতে বলেছেন এবং দুই লাখ টাকা ওয়াশিল লিখতে বলেছেন। কাজী সাহেব আপনার কথায় সরল বিশ্বাসে সেটা লিখেছিলেন।

 

যেহেতু আপনি নোটিশ গ্রহীতার ডিমান্ড মোতাবেক নোটিশ দাতার পিতা-মাতা কন্যার সুখের কথা চিন্তা করে জমি বিক্রয় করে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন থেকে ধার-হাওলাত করে আপনাদের বিবাহের সময় বিভিন্ন ফার্নিচার ও জিনিসপত্র (যার মূল্য ১০ লাখ টাকা) প্রদান করেছেন যা বর্তমানে আপনার কুমিল্লাস্থ বাসভবনে রয়েছে এবং আমার মোয়াক্কেলের দশ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার (যার মূল্য ৯ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা) রেখে দিয়েছেন।

 

নোটিশে সাইফুল আলম আরো বলেন, ‘আপনি জমি কেনার কথা বলে আপনার শ্বশুরের পৈতৃক জমি বিক্রি করে আপনার শ্বশুরের কাছে ২০১৭ সালে ব্যাংকের মাধ্যমে ও নগদে সর্বমোট দশ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ৩০ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেছেন। আপনি অতি চতুরতা করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে আপনার শ্বশুরের কাছ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।

 

সর্বমোট চৌষট্টি লাখ চল্লিশ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। আপনার যৌতুকের দাবি বর্জন করা উচিত এবং সব মিথ্যা বাহানা ও প্রতারণা পরিহার করে আপনার স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওই চৌষট্টি লাখ চল্লিশ হাজার টাকা আজ থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করা হইল। অন্যথায় আমার মক্কেল আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বাধ্য হবেন।’

 

সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল হায়াত বলেন, ‘এখন আমিও আইনের পথে হাঁটব।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version