-->
শিরোনাম

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিবন্দি ৬০ হাজার মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিবন্দি ৬০ হাজার মানুষ
কুড়িগ্রামে বন্যায় ঘরবাড়ি ও সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও দুধকুমারের পানি। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চলগুলো।

 

পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। অনেক চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও নিচু এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে এসব এলাকার মানুষের। অনেকে উচু স্থান ও নৌকায় বসবাস করছেন।

 

শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

উলিপুর উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা চরের কাদের মিয়া বলেন, আমার বাড়ির চাল পর্যন্ত পানি বেড়েছে। বউ-বাচ্চাকে উচু স্থানে রাখছি। নৌকাযোগে ঘরের জিনিসপত্র খুলে নিচ্ছি। রোববার ১০ কেজি চাল পাইছি। চাল পেলে কি হবে, রান্না করা খুব কষ্ট। খাবার পানিরো খুব কষ্ট, কনেক দূর থেকে পানি এনে খাইতে হয়। সবমিলিয়ে অনেক কষ্টে আছি।

 

ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাডোবা চরের হাসিনা বেগম বলেন, রাত থেকে আমার ১ বছর বয়সি বাচ্চাটা অসুস্থ, জ্বরসর্দি। আশপাশে কোনো ডাক্তার নাই। বাচ্চাটা শুধু কান্না করছে। তার কান্না দেখে খুব কষ্ট লাগছে। তাই নৌকা যোগে মোল্লার হাটে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এখানে তো কোনো সরকারি মেডিকেল টিম আসে নাই।

 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামের নদনদীর পানি বৃদ্ধির পর বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও এখনো দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে ধরলা, দুধকুমারের পানি কমতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়তে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। শনিবার ৬০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version