রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে গরুর ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ নামে প্রাণঘাতী রোগ। এতে সংক্রমিত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার গরু। এরইমধ্যে মারা গেছে প্রায় শতাধিক গরু। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে খামারি ও কৃষকদের মাঝে। হঠাৎ দেখা দেয়া এই ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ রোগে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে এই পরিবারগুলো।
প্রাণিসম্পদ অফিস ও স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’-এ এখন পর্যন্ত উপজেলার কমপক্ষে ১০ হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে শতাধিক গরু। হঠাৎ দেখা দেয়া লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগের চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত মারা যাচ্ছে একের পর এক গরু।
জানা যায়, উপজেলায় অনেকেই সংসারে সচ্ছলতা আনার আশায় গরু পালন করছেন বছরের পর বছর। এদের মধ্যে চতরার নাদন পাড়ার মশফিকুর একজন। জীবনে প্রথম গরু পালনের পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়েছেন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের দুঃখের কথা তুলে ধরেন।
জানান, তার গরুগুলোকে মাটি চাপা দিতে কষ্ট হয়েছে। তার তিনটি গরু মারা গিয়েছে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ রোগে। শ্রীরামপুর গ্রামের রহিমা নামের একজন বলেন,আমার দুইটা গরুর মধ্যে একটি গরুর শরীরে গুটি গুটি দেখা যাচ্ছে।
খামারি ও কৃষক তাহারুল, মিজানুর, আশিকুর, সোহান জানান, এই রোগ খুব ভয়াবহ। প্রথমে গরুর গা গরম হয়ে যায়। তারপর শরীরজুড়ে ছোট ছোট মাংসপিন্ডের মতো ফুলে ওঠে। অনেকটা পক্সের মতো। কিছুদিন পর সেগুলো ফেটে রক্ত বের হয়। এ সময় গরু খাবার খায় না। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ প্রাণীটিকে প্রথমেই আলাদা করতে হবে। মশারি টানিয়ে রাখতে হবে যাতে মশা বা মাছি তার শরীরে না বসে। কেননা, মশা বা মাছি অসুস্থ গরুটিকে কামড় দিয়ে আবার যদি সুস্থ কোনো গরুকে কামড় দেয় তাহলে সেটিও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য