গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে হোটেল-রেস্তোরাঁর বর্জ্য ফসলি জমিতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট ও বর্জ্যরে পচা গন্ধে দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষক।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার হিরোণ্যকান্দিতে অবস্থিত সাম্পান হাইওয়ে ইন রেস্টুরেন্টের বর্জ্য ট্রাকে করে ১০ কিলোমিটার দূরে পিংগলিয়া এলাকায় নিয়ে ফসলি জমির পাশে ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টিতে ক্ষতিকর বর্জ্য কৃষকদের জমিতে গিয়ে পড়ছে। এতে শতাধিক কৃষকের জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার পিংগলিয়া এলাকার ওড়ালসেতুর নিচে সাম্পান হাইওয়ে ইন রেস্টুরেন্টের চানাচুর, চিপস ও বিস্কুটের মোড়ক, পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, অপচনশীল জাতীয় দ্রব্য ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টিতে রাস্তার পাশে ফেলা বর্জ্য আশপাশের জমিতে গিয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে খাবারের অবশিষ্টাংশ পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। বর্জ্যরে দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।
কৃষক ফিরোজ মোল্যা, বাচ্চু মোল্যা, মোরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাম্পান হোটেলের ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার কারণে আমাদের ফসলি জমি চাষাবাদ করার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ময়লা ফেলা বন্ধ করতে একাধিকবার জানালেও তারা শুনছেন না। বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে ফসলি জমির চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযোগের বিষয়ে সাম্পান হাইওয়ে ইন রেস্টুরেন্টের ইনচার্জ জোহান আহমেদ বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি যেহেতু জানলাম, ওখানে আর ময়লা ফেলবে না। বিষয়টি আমি দেখতেছি কি করা যায়।কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য