দাদা থেকে বাবা, বাবা থেকে এখন নিজে। এই বংশপরম্পরায় প্রায় ৪৫ বছর ধরে তাবিজ-কবজ বাঁধাই করে জীবিকা নির্বাহ করছেন মো. ছাদেক।
ভোলার লালমোহন পৌরসভার সার-বীজ পট্টি এলাকার ফুটপাতে বসে বছরের পর বছর তাবিজ আর কবজ বাঁধাই করে আসছেন তিনি। একই সঙ্গে সেখানে তাবিজ-কবজের খোসাও বিক্রি করেন ৬০ বছর বয়াসি ছাদেক। ফুটপাতের এই ছোট্ট দোকানটিই তার আয়ের প্রধান উৎস। যেখানের আয় দিয়েই চলে তার পরিবার। মো. ছাদেক লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রামের ফোনারী বাড়ির বাসিন্দা।
মো. ছাদেক বলেন, বাপ-দাদারা এই কাজ করেছেন। পনেরো বছর বয়স থেকে তাদের কাছ থেকে শিখে নিজেই এখন তাবিজ-কবজ বাঁধাইয়ের কাজ করছি। পাশাপাশি পাইকারি হিসেবে তাবিজ-কবজের খোসাও বিক্রি করি।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এখানে বসে এ দোকান করছি। এতে করে গড়ে দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার টাকার মতো উপার্জন করি। খরচ বাদে যেখান থেকে লাভ হয় ছয়-সাতশ টাকা।
তিনি আরো বলেন, এই দোকানের আয় থেকে সংসার চলে। পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে দুই মেয়েকে এই দোকানের আয় দিয়েই বিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া দুই সন্তানের মধ্যে একজন বিয়ে করে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থাকে। বর্তমানে সংসারে স্ত্রী ও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
এই তাবিজ-কবজ বাঁধাই আর এসবের খোসা বিক্রি করেই এখন সংসার চালাচ্ছি। এতেই আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন। আমার কারও কাছে তেমন আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য