বানিয়াচং উপজেলা সদরের সবক’টি বাজারের পয়েন্টে ব্যাটারিচালিত টমটম, মিশুক এবং অটোরিকশা পার্কিং গড়ে উঠেছে। এতে করে বাজারের ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তা ছাড়া পার্কিং নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে প্রায়ই ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা।
তিন চাকার যানচালকরা বলছেন, বাজারসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা না থাকায় অনির্দিষ্টভাবে তাদের গাড়ি রাখতে হয়। কারণ, এসব স্থানেই যাত্রী পাওয়া যায় বেশি।
বাজার এলাকাগুলোয় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাজারসংলগ্ন ফাঁকা জায়গাগুলো ভরাট করে বিভিন্ন রকম স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, যার ফলে বাজারের রাস্তাসহ বিভিন্ন পয়েন্টের আয়তন অনেক কমে এসেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো উপজেলা সদরে হওয়ায় বাইরে থেকে এখানে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে।
উপজেলা সদরের গ্যানিংগঞ্জ বাজার, বড় বাজার, ৫/৬ নম্বর বাজার, আদর্শ বাজার, বাবুর বাজারের পয়েন্টগুলোতে দোকানের সামনে এলোমেলোভাবে টমটম, মিশুকগুলো রাখার কারণে অধিকাংশ দোকানে ঢুকতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। রাস্তা আটকে থাকায় বাজারের ভেতর দিয়ে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, শ্রমজীবীসহ কয়েক হাজার মানুষকে এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি রেজাউল মোহিত খান জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এসব নিয়ে বেশ কয়েকবার টমটম ও মিশুক সমিতির দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
একই সঙ্গে টমটম ও মিশুকগুলো যেন বাজারের কোনো দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে না রাখা হয় সেই নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। বাজারের বাইরে যেসব স্থানে গাড়ি রাখা যাবে এসব স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছি।
বানিয়াচং উপজেলার ৩নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের টমটম মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া জানান, স্ট্যান্ডের জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। নির্ধারিত স্থান পেলেই এ সমস্যা দূর হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য