-->
শিরোনাম

বংশী নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো যেন মরণফাঁদ

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
বংশী নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো যেন মরণফাঁদ
ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নে বংশী নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের ছোট কালামপুর এবং সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই কারাবিলের মাঝে বংশী নদীর সেতু ভেঙে নতুন সেতু করার কথা থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বংশী নদীর ওপর ১৫-১৬ বছর আগে ছোট কালামপুর হতে দেপাশাই কারাবিলের মানুষের চলাচলের জন্য ৭৪ মিরার লম্বা ব্রিজ করা হয়।

 

কিন্তু ব্রিজ তুলনামূলক নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে কোনো ধরনের নৌকা নিচ দিয়ে চলাচল করতে পারে না। ফলে নতুন ব্রিজ করার জন্য বিল পাস করা হয়। গত ৬ মাস আগে সেই পুরোনো ব্রিজ ভেঙে ফেলা হয় এবং মানুষের চলাচলের জন্য পাশে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এই বাঁশের সাঁকো যেন এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, ৬ মাসে নতুন ব্রিজের কোনো কাজই করা হয়নি। এতে করে বিপাকে পড়েছে ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। শিমুল নামের ছোট এক শিশু। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা করে সে। শিশুটি বলে, বাঁশের এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। ভয় করে স্কুলে আসতে, কখন নদীতে পড়ে যাই।

 

এ বিষয়ে শাকিল হোসেন নামের এক যুবক বলেন, এই ব্রিজের কারণে ১০-১২ হাজার মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।

 

এ ছাড়াও এপার থেকে শাকসবজি, ফলমূল, ধান, চাল কালামপুর বাজারে নিতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে তা এখন ব্যবহার করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে গড়তে পাড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বার বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন ভোরের আকাশকে বলেন, এ বিষয়টি আমার মাথায় আছে। লোকজনের চলাচলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী স্যারের সাথে কথা বলেছি, তিনি থানার ইঞ্জিনিয়ারকে দেখতে বলেছেন। আমিও চাই দ্রুত ব্রিজটির কাজ শেষ করা হোক।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version