গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মরুভূমির পশু দুম্বা পালন করে সাড়া ফেলেছেন জোবাইদুর রহমান। তিনি ইরাকে থাকা তার ছোট ভাইয়ের পরামর্শে দুম্বা পালন শুরু করেন।
জানা যায়, জোবাইদুর রহমান সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার হুড়াভায়া খাঁ এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার ছোট ভাইয়ের পরামর্শে পাবনা থেকে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ৩টি দুম্বা এনে পালন শুরু করেন। তার মধ্যে তুর্কি জাতের দুটি, অন্যটি ডরপর জাতের। পালন পদ্ধতিতে দেশি ছাগল-ভেড়ার মতো হওয়ায় তিনি এর পালন করে লাভবান হতে পারছেন। এ ছাড়াও অন্যান্য পশুর তুলনায় এর দাম বেশি এবং মাংসের স্বাদও অনেক ভালো।
দুম্বা চাষি জানান, এসব দুম্বার জন্য বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। গরমের সময় যেন কষ্ট না হয় তার জন্য ফ্যান লাগিয়েছেন। আবার শীতের সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে ঘর গরম করে রাখেন। এ ছাড়াও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও রয়েছে।
তিনি আরো জানান, দুম্বাগুলোকে পানি, ঘাস, বুট ও অ্যাংকর ডালের ভ‚ষি এবং খড় ছোট ছোট করে কেটে খাওয়ান। দুম্বাগুলো কাঁঠাল পাতা ও আমপাতা খেতে ভালোবাসে।
দুম্বাগুলোকে কিনে আনার ৬ মাস পরই একটি দুম্বা বাচ্চা জন্ম দেয়। মাস খানেকের মধ্যে আরেকটি বাচ্চা জন্ম দেয়, এখন তার ছোট বড় মিলে ১০টি দুম্বা। এভাবেই খামার বড় হতে থাকবে ও বড় পরিসরে দুম্বার খামার করার পরিকল্পনা আছে।
আরবের পশু আগে এই অঞ্চলে পালন না হওয়ায় স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন। অনেকে আবার এই পশু পালন করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার ভোরের আকাশকে জানান, দুম্বা চাষিকে অবশ্যই সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য