-->
শিরোনাম
রাস্তা সংস্কারের অর্থ লোপাটের অভিযোগ

অর্ধলাখ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
অর্ধলাখ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কর্মসৃজন প্রকল্পের ধসে যাওয়া রাস্তায় কথা বলছেন শ্রমিকরা

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের রাস্তা সংস্কারের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৪নং আওনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাঁচতারা জেটি ঘাট হয়ে স্থল গ্রামের প্রধান সড়ক পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ থাকার পরও সংস্কারের উদ্যোগ নেই।

 

উপজেলার দৌলতপুর, স্থল, কুলপাল, গোয়াল পাড়া, কাওয়ামারা, বাটিকামারী, গোয়াল বাথান, তরুনি আটা, চানপুর, রামপুরসহ ১২টি গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। সঠিকভাবে রাস্তা সংস্কারের কাজ না করায় বৃষ্টিতে রাস্তা ধসে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।

 

এলাকার মতি মিয়া বলেন, ‘কয়েকটা মহিলা রাস্তার সাইট মাইট বাইন্ধা থুইয়া গেছে। রাস্তার মাটি কই থিকা কাটব। তবে দুই গাড়ি মাটি দিয়া রাস্তা সমান করছে।’

 

স্থল গ্রামের জুলহাস উদ্দিন জানান, ‘রাস্তায় দুই দিন মাটি ছিটাইয়া বাইরাইয়া দিছে। ৭নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বাররে বাদ দিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বারনিরে দিয়া কাম করায়। আমাদের ওয়ার্ডে ম্যাম্বররে দিয়া কাম করায় না।’

 

স্থানীয় অটোভ্যান চালক দুলাল মিয়া বলেন, ৩০ জন করে শ্রমিক ২ দিন কাজ করছে। তারা মাটি ছড়িয়ে দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেনি। আমাদের ২০০ গাড়ি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারি না।

 

স্থল মধ্যপাড়া গ্রামের আ. জলিল মিয়া ৮নং ওয়ার্ডের নাপিতের বাড়ি হতে নিপেন ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে বলেন, ‘৮ জন লেবারকে এক দিন কাজ করতে দেখেছি।

 

ম্যাম্বার এসে রাস্তার নিচু জায়গা পূরণ করেছে।’ ৯নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া প্রধান সড়ক থেকে পশ্চিমে যমুনা ওয়াবদা বাধ সড়ক সংস্কারের বিষয়ে গ্রামের বৃদ্ধ শাজাহান মিয়া বলেন, ‘এইদিকে কাজ হয় নাই। ওই দিকে কাজ হইছে। ৫-৭ দিন কাজ করছে। যেখানে যেখানে দুপা (নিচু) সেখানে মাটি ফালাইছে। তবে তার বাড়ির সামনের রাস্তার ভাঙন সংস্কারের কাজ করা হয়নি।

 

সরকারি অর্থে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ না করে নামমাত্র কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করে জনগণের ভোগান্তি কমানোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

প্রকল্পের বিষয়ে আওনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে বিশ্বাস না করে আমার ওয়ার্ডের কাজ ৫নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রওশানারাকে প্রকল্পের সভাপতি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

 

৮নং ওয়ার্ডের হুসেন আলী ম্যাম্বার বলেন, প্রকল্পে দুই দিন কাজ করেছি। আরও কয়েকদিন কাজ করলে পরিপূর্ণ হতো। এ বিষয়ে আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাহ হোসেন জানান, কাজ হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে ধুয়ে গেছে। চলাচলে অসুবিধা দুর করতে আবারো কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে জেনে আপনাকে জানাব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version