-->

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে হারিকেন

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে হারিকেন
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন বিলুপ্তির পথে

আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে হারিকেন বাতি। একসময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আলোর বাহন হিসেবে হারিকেন ব্যবহৃত হতো।

 

এক সময় আলোর অন্যতম বাহন হিসেবে গ্রামীণ সমাজের ঘরে ঘরে সন্ধ্যাবাতি হিসেবে ব্যবহৃত হতো হারিকেন। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের দু-এক বাড়িতে হারিকেন পাওয়া গেলেও ব্যবহার না করায় সেগুলো ময়লা ও মরিচা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এখন আর কোনো ঘরে কিংবা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হারিকেনের ব্যবহার চোখে পড়ে না।

 

অথচ ২০ বছর আগেও চিত্রটি ছিল এমন যে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে সাঁঝের বেলায় নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন সন্ধ্যায় ঘরের আলো জ্বালানো নিয়ে।

 

সমাজ পরিবর্তন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামবাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন বিলুপ্তির পথে। বৈদ্যুতিক বাতি, চার্জার ও সৌরবিদ্যুতের নানা ব্যবহারের ফলে হারিকেনের ব্যবহার আজ আর দেখা যায় না।

 

জেলার গ্রামাঞ্চলে এখন হারিকেন যেমন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর তেমনি বিদ্যুৎ নেই এমন গ্রামও হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে হারিকেনের জায়গা দখল করে নিয়েছে সৌরবিদ্যুতের আলো বা চার্জার লাইট।

 

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ পল্লিবিদ্যুতায়ন বোর্ডের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ আরম্ভ করে। মূলত দেশে পল্লিবিদ্যুতায়নের কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পল্লির জনপদ থেকে হারিকেনের ব্যবহার হারিয়ে যেতে থাকে।

 

বিদ্যুৎ থাকা না-থাকা দোটানার ভেল্কিবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে হেলাল উদ্দিন বলেন, গোটা পৃথিবী এখন শতভাগ বিদ্যুৎ শক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিদ্যুৎবিহীন জীবনাচরণ ভাবাই যায় না। তা না হলে হারিকেনই ভালো ছিল।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version