-->
শিরোনাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগর, জেলেদের মাঝে হতাশা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
উত্তাল বঙ্গোপসাগর, জেলেদের মাঝে হতাশা
তীরে ভিড়েছে মাছ ধরার ট্রলার

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর হঠাৎ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আশা নিয়ে রুপালি ইলিশের সন্ধানে নেমেছিলেন উপকূলের জেলেরা। গভীর সমুদ্রে প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে তীরে ফিরে এসেছেন তারা। কূলে ফিরে আসা জেলেদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ।

 

উপক‚লের মৎস্য বন্দরগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত রোববার মধ্যরাতে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করে উপক‚লের সহস্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার। নতুন ও মজবুত ট্রলারগুলো গভীর সমুদ্রে গেলেও পুরোনো ট্রলার (ফিটনেসবিহীন) সাগরের মোহনা থেকে ঘাটে ফিরে এসেছে।

 

আর গভীরে যাওয়া ট্রলারগুলো উত্তাল সমুদ্রে দুই একবার জাল ফেলে মাছ না পেয়ে ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার সকালের মধ্যে সব ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। সাগর মাছ ধরার উপযোগী হলে আবার যাত্রা করবে। এখন ছেঁড়া জাল বুনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা।

 

জেলে তৈয়ব আলী বলেন, ‘আমরা সাগরে যাওয়ার সময় মোহনা থেকে প্রচন্ড তুফান দেখেছি। মনে করেছি গভীর সমুদ্রে ঢেউ কম থাকবে। কিন্তু গভীর সমুদ্রেও প্রচন্ড স্রোত রয়েছে। তারপরও একবার জাল ফেলছিলাম। কিন্তু ঢেউয়ের ঝাপটায় সব জাল রশির সঙ্গে পেঁচিয়ে এবং ছিঁড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। জাল ঠিক করতে কমছে কম এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

 

এফবি তামান্না ট্রলারের মাঝি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ট্রলারে তেল ও বরফ নিয়ে প্রস্তুতি নেয়া ছিল। সোমবার সকালে সমুদ্রে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাগর উত্তাল হওয়ার খবর পেয়ে আর যাওয়া হয়নি। মাছ ধরার উপযোগী হলে যাব।

 

এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মাঝি একলাছ গাজী বলেন, রোববার গভীর রাতে আলীপুর ঘাট থেকে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। এর পরদিন দুপুরে জোয়ারে হঠাৎ সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে দুই দিন মাছ ধরে গত রাতে ঘাটে এসে মাত্র এক লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়েনি। ছোট ও মাঝারি ইলিশ আছে।

 

মৎস্য বন্দর আলীপুরের মনি ফিশের মালিক আব্দুল জলিল ঘরামী বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সমুদ্রে গেছেন। সমুদ্র উত্তাল থাকায় ঘাটে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু খাবারের মাছ পেয়েছেন। আমরা মৎস্য সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ।

 

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, অবরোধ শেষে যেসব ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়েছিল তারা ঘাটে ফিরে এসেছে। সমুদ্রে প্রচন্ড ঢেউ ও স্রোত রয়েছে। আগামী ২-৩ দিনেও সমুদ্র স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অমাবস্যা জোর প্রভাব কেটে গেলে সমুদ্র স্বাভাবিক হবে। তখন জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version