বাঘ কেমন আছে সেটা দেখেই আমরা বুঝতে পারি সুন্দরবন কেমন আছে। বাঘের বেঁচে থাকা মানুষের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভরশীল। তাই বাঘের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সুন্দরবন রক্ষা জরুরি। বাঘের অস্তিত্ব রক্ষা না হলে সুন্দরবন বিপন্ন হবে। বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। বাঙালির শৌর্য-বীর্যের প্রতীক বাঘ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শনিবার সকালে বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে মোংলা পোর্ট পৌরসভা চত্বরে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচি ও র্যালিপূর্বক উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘বাঘ করি সংরক্ষণ; সমৃদ্ধ হবে সুন্দরবন’ স্লোগানে বিশ্ব বাঘ দিবসের উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সাবেক কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দিন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারি সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভীন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন ও প্রভাষক মাহবুবুর রহমান। উদ্বোধনী সমাবেশ পরিচালনা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় নেতা মো. নূর আলম শেখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকার নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে বাঘের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্বোধনী সমাবেশ শেষে একটি সুসজ্জিত র্যালি মোংলা শহর প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে বিকেল ৩টায় সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার বৈদ্যমারি মাঠে ওয়াটারকিপারর্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, লাঠিখেলা ও বাঘ উদ্ধার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য