-->
শিরোনাম

নদনদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
নদনদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভোলার চরফ্যাশনে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে

ভোলার চরফ্যাশনে নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার দিনভর একটানা ভারী বর্ষণ ও ঘুর্ণিবাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল হয়ে ওঠেছে।

 

নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ও চর নিজাম, কুকরি-মুকরি, চর পাতিলার নিম্নাঞ্চল। পানিতে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, ধসে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মানুষের বসতঘর। ঘূর্ণিবাতাসের কবলে পড়ে মঙ্গলবার সকালে জেলেদের ৫টি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে।

 

চর কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, সারা দিন তীব্র বাতাস ও একটানা ভারী বর্ষণ ও নদীর পানি প্রবেশ করে চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চর পাতিলার দুই গ্রাম ও বাঁধের বাহিরে পাঁচ শতাধিক পুকুর ও খামারের মাছ, গবাদিপশু ভেসে গেছে। ধসে পরেছে পাকা সড়ক। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ছোট ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্র ছেড়ে তীরে এসে পৌঁছেছেন।

 

ঢালচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ঢালচর ও মুজিব নগর ইউনিয়নের সিকদারচর, চর কলমী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বসতভিটে। প্রবল জোয়ারের তোড়ে ধসে পরেছে বসতঘরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

এছাড়া গবাদিপশুর খাদ্যের তীব্র সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসব চরের ঘরবাড়ির, হাঁস-মুরগিসহ গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মেচপা উর রাশিদ বলেন, ভোলার চরফ্যাশনের নদনদীর পানি বেড়েছে। তবে এ অঞ্চলে তিন নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে।

 

তিনি জানান, নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবিরা মাইকে প্রচার করেছেন। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version