-->

আখাউড়ায় শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আখাউড়ায় শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয় এবং শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি দাখিল মাদ্রাসা ও ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, প্রধান শিক্ষক, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।

 

জানা যায়, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৭১৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৬৭জন। শতকরা গড় পাসের হার ৫৬.৩২। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। উপজেলার ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮৮ জন। শতকরা পাসের হার ৭২.৮৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।

 

কয়েকটি স্কুলের ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। এরমধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গড় পাসের হার ৫৪.৫৫, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ জন। শাহ্পীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গড় পাসের হার ৪১.৯৪। কর্মমঠ উচ্চ বিদ্যালয় ৫১.৬৯%, জিপিএ-ফাইভ ১জন, মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ২৭.২৭%, ছয়গড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ১৯.৫০%, নুরপুর রুটি উচ্চ বিদ্যালয় ৪০.০০%, ভাটামাথা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ২৮%। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন।

 

এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। বিপর্যয়ের কারণ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন এবং ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বক্তারা ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য প্রথমত ম্যানেজিং কমিটির তদারকির অভাব এবং প্রধান শিক্ষকের লিডারশীপের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেছেন।

 

এছাড়া শিক্ষক সংকট, ছাত্র-শিক্ষক-অভিাবকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, শিক্ষকদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, প্রাইভেট টিউশন, শিক্ষার্থীদের অমনোযোগীতা, শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সভায় ফলাফল ভালো করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়; ম্যানেজিং কমিটিকে তদারকি বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষককে কঠোরতার সাথে দায়িত্ব পালন করা, শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা, প্রতিটি বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ করা, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ফেল ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া, বিশেষ ক্লাশের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। ছাত্রছাত্রীদেরকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version