-->
শিরোনাম

অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ না করায় গলার কাঁটা চরকগাছিয়া খালের ব্রিজ

বরগুনা প্রতিনিধি
অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ না করায় গলার কাঁটা চরকগাছিয়া খালের ব্রিজ
আমতলীর চরকগাছিয়া খালের ব্রিজ

বরগুনায় ১০ হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের গলার কাঁটা এখন নির্মাণাধীন ব্রিজ। অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার মো. আমির হোসেনের বিরুদ্ধে। আমতলীর উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া খালে ব্রিজ নির্মাণের দুই বছর হলেও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা নিজেদের অর্থায়নে অ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি ফেলে তার ওপড় সিমেন্টের ব্লক দিয়ে চলাচলের উপযোগী করেছে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন চরকগাছিয়া খালে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহব্বান করে। ব্রিজটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বরিশালের আমির কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 

২০২১ সালে মূল ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হলেও ব্রিজ নির্মাণের দুই বছর পরও ঠিকাদার আমির হোসেন অ্যাপ্রোচ সড়কটি মাটি দিয়ে নির্মাণ ও পাকাকরণ করেননি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার আমির হোসেন গাফলতি করে গত দুই বছর পর্যন্ত কাজ ফেলে রেখেছেন। এতে ওই এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, ঠিকাদার মো. আমির হোসেনকে একাধিকবার বলা হলেও তিনি নির্মাণ ব্রিজের কাজটি সম্পন্ন করেনি। স্কুল-কলেজ ছাত্রছাত্রী ও মুরুব্বিদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। প্রতিনিয়ত ওই এলাকার বাসিন্দারা কেউ না কেউ ফোন করে অভিযোগ দিয়ে থাকেন।

 

ঠিকাদার মো. আমির হোসেন বলেন, অ্যাপ্রোচ সড়কের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে পারিনি। কিছুদিন পূর্বে অ্যাপ্রোচের ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া প্রজেক্ট পরিচালকের ব্রিজ পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। তিনি পরিদর্শন করে গেলেই অ্যাপ্রোচ নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ শুরু করব।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ ও পাকাকরণের কাজ করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। দ্রুত কাজ না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রিজের কাজ বাতিলের প্রস্তাব বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে কাজের কোনো টাকা ছাড় দেয়া হয়নি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version