মাস না ঘুরতেই আবারো বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। এদিকে সবজির বাজারদর আগের মতো থাকলেও মাছের বাজার বেশ চড়া। সুস্বাদু ইলিশের স্বাদ নিতে গুণতে হচ্ছে হাজার টাকা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার নগরের চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে বাজারটিতে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও আজকের বাজারে পণ্যটির দাম ঠেকেছে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকায়।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. এনাম বলেন, ব্রয়লার মুরগির চাহিদা সব সময় বেশি। কিন্তু খাবারের দাম বাড়ায় অনেকে মুরগি উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। তাই বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামটা বাড়ছে।
একই দোকানে কথা হয় ক্রেতা মো. শফিউলের সাথে। তিনি বলেন, কোরবানির সময় মুরগির দাম একটু কমেছিল। এখন আবার সিন্ডিকেট করে মুরগির দাম বাড়ানো হচ্ছে। আজ ১৭০ টাকা দরে মুরগি কিনেছি। এভাবে হলে আমরা সাধারণ মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকব?
এদিকে মাছের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। তার ওপর বাজারে ইলিশের সরবরাহ ভালো থাকলেও দাম ক্রেতার নাগালে নেই। বাজারে বড় আকারের ইলিশের কেজি ১ হাজার ৮শ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ ১ হাজার ২শ ও ছোট আকারের ইলিশ ৭শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিকেজি কই ২৫০, লইট্টা ২শ, কোরাল ৮শ, শিং ৪শ, চিংড়ি ৬৫০, কাচকি ৬শ, তেলাপিয়া ২২০, পাঙ্গাশ ১৯০, রুই ২৬০, বড় আকারের কাতল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে একই বাজারের মাছ বিক্রেতা সুমন বলেন, এখন জেলেদের পারিশ্রমিক বেড়ে গেছে। তাই ভালো সরবরাহের পরও ইলিশ মাছের দামটা বেশি। বাড়তি দাম থাকায় আমাদের বেচাবিক্রিও কম। কিন্তু কেনা বেশি পড়ায় আমরাও কমে বিক্রি করতে পারছি না।
এদিকে সবজির বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৫০, ঢেঁড়স ৪০, চিচিঙ্গা ৫০, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০, করলা ৭০ থেকে ৮০, পেঁপে ৩০, কচুমুখি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা,ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৬ টাকা, খোলা চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য