-->

দৃষ্টিনন্দন পান ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ চলছে, থাকছে নানা সুবিধা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
দৃষ্টিনন্দন পান ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ চলছে, থাকছে নানা সুবিধা
মহেশখালীর পান ভাস্কর্যের মডেল

কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা জেটিঘাটসংলগ্ন এলাকায় চলছে দৃষ্টিনন্দন পান ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ। ভাস্কর্যটি ঘিরে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য থাকছে বসার ব্যবস্থা, নামাজের স্থান, গণশৌচাগার, রেস্তোরাঁসহ কেনকাটার ব্যবস্থা।

 

নির্মাণকাজ শেষ হলে যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘব হবে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। পাশাপাশি পর্যটনশিল্পে যোগ হবে নতুন মাত্রা। সাগরদ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সঙ্গে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। প্রতিদিনই এ পথে যাতায়াত করে হাজার হাজার যাত্রী। পর্যটন মৌসুমে এ সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

 

এ পথের মহেশখালী জেটিতে প্রতিদিনই যাত্রী কিংবা পর্যটকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ রোগী, বয়স্ক নারী-পুরুষ কিংবা ছোট শিশুকে উঠতে হয় স্পিডবোট বা ট্রলারে। জেটিতে নেই কোনো ধরনের বসার ব্যবস্থা ও গণশৌচাগার।

 

কউক সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীসাধারণ ও পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে নেয়া হয় পান ভাস্কর্যের প্রকল্প। এক বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক কোটি টাকা। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষে এইচএ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। চলতি বছরের মে মাস থেকে কাজ শুরু করে তারা। এ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

দিদারুল আলম নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমে হাজার হাজার মানুষ মহেশখালী আদিনাথ মন্দির দেখার জন্য আসে। তাদের জেটিতে স্পিডবোট কিংবা ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সেখানে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের মধ্যে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। পান ভাস্কর্যের কাজ শেষ হলে এ ভোগান্তি লাঘব হবে।

 

মনিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, মহেশখালী ঘাটের জেটিটি এক কিলোমিটার হবে। কিন্তু এই জেটিতে পাবলিক টয়লেট নেই। নেই নামাজ পড়ার কোনো স্থানও। তাই পান ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ শেষ হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।

 

জামশেদ নামে এক পর্যটক বলেন, জেটিতে অনেক ভিড়। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বসার কোনো স্থানও নেই। এভাবে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে খুবই কষ্ট হয়।

 

কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, ‘মহেশখালী জেটিতে যাত্রী কিংবা পর্যটকদের দুর্ভোগ লাঘবে বসার স্থান, বিশ্রামের ব্যবস্থা, গণশৌচাগার, রেস্তোরাঁ, নামাজের স্থান ও কেনাকাটার ব্যবস্থা থাকবে। এটি দৃষ্টিনন্দন করার মাধ্যমে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়বে, অন্যদিকে পর্যটক কিংবা যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। এ ভাস্কর্যের নির্মাণকাজ শেষ হলে পর্যটনশিল্পে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

 

কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, বর্তমান সরকার কক্সবাজারের উন্নয়নের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীকে সিঙ্গাপুরের আদলে রূপ দিতে চায় সরকার। বর্তমানে মহেশখালী জেটিটি জরাজীর্ণ। তাই ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন জেটি নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version