-->
শিরোনাম

আখাউড়া স্থলবন্দরে ভ্রমণ বাবদ রাজস্ব আয় বেড়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আখাউড়া স্থলবন্দরে ভ্রমণ বাবদ রাজস্ব আয় বেড়েছে
আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে ভোরের আকাশ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম সুমনের তোলা ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদ রাজস্ব আদায় বেড়েছে। নতুন অর্থ বছরে গেল জুলাই মাসে যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে দেড় কোটি টাকার বেশি। তবে বন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রফতানির পরিমাণ আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাছাড়া আমদানি বাণিজ্যও প্রায় শূন্যের কোটায়।

 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থলপথে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের বড় মাধ্যম আখাউড়া স্থলবন্দর। যার ফলে এ বন্দর দিয়ে দিন দিন যাত্রী পারাপার বাড়ছে। মূলত বন্দর পার হলেই ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহর। আর শহর থেকে খুব কাছেই বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশন। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারতে যাত্রী পারাপার বাড়ছে।

 

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ভারত ভ্রমণকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ রাজস্ব বাবদ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে গেল ১লা জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাজস্ব এসেছে এক কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। নতুন অর্থবছরে যাত্রীপ্রতি সরকার নির্ধারিত ১ হাজার টাকা ভ্রমণ কর আদায় করা হচ্ছে। এ সময়ে ১৭ হাজার ৪৭ জন যাত্রী ভারতে গমন করেন।

 

ভারতে প্রবেশ করা যাত্রীদের ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি। ইমিগ্রেশনে অপেক্ষমান যাত্রীরা জানায়, এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। তাই ভারত যেতে এ পথটাই পছন্দ। তবে বন্দরে অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। অবকাঠামো আরও উন্নত করা উচিত। অনেকে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন।

 

দ্বিতীয়বার এ পথে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা দিতে যাওয়া একজন বলেন, 'যাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও এখানে বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই, ওয়াশ রুম নাই। বৃষ্টি হলে ঠিকমতো দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া যায় না। আবার কিছু জায়গা বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়।' সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুততম সময়ে এসব সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এই যাত্রী।

 

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খান জানান, দেশের ২য় বৃহত্তম স্থলবন্দর আখাউড়া। বন্দরে যাত্রী পারাপার বাড়ছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

যাত্রীসেবার মান এবং অবকাঠামোগত সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থলবন্দরের সহকারি ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস ভোরের আকাশকে বলেন, 'মাত্র কিছুদিন আগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উচপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ পরিদর্শন করে গেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীদের সুবিদার্থে যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version