-->
শিরোনাম

ভেদরগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ

মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর
ভেদরগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের মহোৎসব চলছে। বিশেষ করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদরের খাল, গৈড্যা গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খাল, সাজনপুর বাজার সংলগ্ন খাল, পশ্চিম ছয়গাঁও রাণীসার গ্রামের খাল, রামভদ্রপুর এলাকার খালসহ বিভিন্ন এলাকার খাল প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে।

 

এ ছাড়া উপজেলার স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সরকারি খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে কাগজপত্র প্রস্তুত করে মালিকানা দেখিয়ে বিক্রি করছে সরকারি খাসজমি। এসব জমি ক্রয়ের কাগজপত্র দেখিয়ে কেউ কেউ ওই জমির সাথে সরকারি খাল দখল করে নির্মাণ করছে পাকা ভবন।

 

জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার গৈড্যা গ্রামের অলিউল্লাহ খানের ছেলে মো. আলম খান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সরকারি খাল দখল করে নির্মাণ করছে পাকা ভবন। তার দাবি, তিনি বিআরএস জরিপের ৩০নং গৈড্যা মৌজার ২৭৭ ও ৪৮৫নং খতিয়ানের যথাক্রমে ৪৭১ ও ৪৭২নং দাগের প্রায় ৫ শতাংশ জমি স্থানীয় আব্দুর রব হাওলাদারের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। তিনি খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি খালের মধ্যে আরো জায়গা পাব।

 

এদিকে খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মো. আলম খান ওই নির্দেশনা অমান্য করে অফিস বন্ধের দিনে গোপনে গোপনে ভবন নির্মাণকাজ চালাচ্ছেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।

 

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পানি প্রবাহমান খাল ব্যক্তি মালিকানায় দখল করার সুযোগ নেই। কেউ সরকারি খাল দখল করে পাকাভবন নির্মাণ করলে সে বিষয়ে আমরা যথাযথভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version