ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নারী কর্মচারিকে অপহরণের প্রতিবাদ করায় দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে মামলায় নাম থাকা ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বুধবার (৯ আগষ্ট) সকালে ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চার্জশিটের যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে। মামলার এজাহারে থাকা ৫ জনকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দ্রত বিচার আইনের মামলায় ৭ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী দ্রুত তদন্ত করে গত সোমবার অনলাইনে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।'
এদিকে ঘটনার মূলহোতা মো. সুমন মিয়া এখনো জেলহাজতে আছেন। আদালত তিনবার তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন। সর্বশেষ গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে তার জামিন প্রার্থনা করা হলে নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সুমনের বাবা মো. মাহফুজ মিয়া বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় জামিন পান। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
গত ২৮ জুলাই আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক আশীষ সাহা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ পৌর এলাকার দেবগ্রামের (বরিশলের সাবেক বাসিন্দা) মাহফুজ মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আখাউড়ায় গত রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা নাগাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কর্মবিরতি পালন করা হয়। বেলা ৩ টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা রাধানগর চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া সুধী সমাজ ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য