বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকূলসহ পাইকগাছার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ৭ দিনের হালকা ও ভারী বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে বৃষ্টিপাতে আমন আবাদে চাষিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবেশ-প্রকৃতি ও কৃষির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন সবাই। তাই নতুন করে আমন চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। তারা আমন চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণে এলাকায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে শ্রমজীবীরা কাজ করতে পারেনি। গত কয়েক দিনের গুঁড়িগুঁড়ি, হালকা, মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা বিরামহীনভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নিচু এলাকার সবজি ক্ষেতগুলোর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে নদনদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে মেরামত করা হচ্ছে। পৌর বাজারে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বীজতলা ও সদ্য রোপণকৃত আমন ধানের উপকার হবে। আমন চারা রোপণ চলছে। আমনের চারা রোপণের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকায় কৃষকদের পানিসেচ দিয়ে জমি তৈরি করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে।
এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোনো ক্ষতিতো হবেই না আরো উপকার হবে। বৃষ্টি হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে তিনি জানান।
পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাজু হাওলাদার জানান, এখন পূর্ণিমায় ভারী বৃষ্টি এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে উঠে পড়েছে। পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কিমি. বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে কোনো বেড়িবাঁধ ভাঙেনি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য