-->
শিরোনাম

খাগড়াছড়িতে প্লাবিত এলাকার উন্নতি, কমেছে চেঙ্গী নদীর পানি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে প্লাবিত এলাকার উন্নতি, কমেছে চেঙ্গী নদীর পানি

সকাল থেকে মানুষজন ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। বাসাবাড়ি পরিষ্কার করে স্বাভাবিক করছেন তারা। এর আগে গত দু’দিন পানিবন্দি ছিল নদী ও ছড়া খালের তীরবর্তী বেশ কয়কটি গ্রাম। রাতের শেষ দিকে ধীরে ধীরে পানি নামতে থাকায় ভোগান্তি কমে প্লাবিত এলাকার মানুষের। তবে বাসাবাড়িতে ফিরলেও অনেক নিম্ন আয়ের পরিবারের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়ে গেছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন ঝোপঝাড় থেকে বের হচ্ছে পোকামাকড় ও সাপ।

 

এদিকে, মাইনী নদীর পানিও কমে যাওয়ায় দীঘিনলার মেরুং ও কবাখালী ইউপির বিভিন্ন এলাকার অবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি, সাজেক ও লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। যার ফলে সাজেকে আটকে আছে ৩০০ মতো পর্যটক। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকার ৪ হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

 

জেলা শহরের মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া, কালাডেবা, বটতলী, পেরাছড়া, শান্তিনগর এলাকা এবং দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ও কবাখালী ইউপির ১৫-১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় সড়ক, পথ-ঘাট ও হাট-বাজার। গতকাল আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়নি।

 

এদিকে বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদরস্থ দক্ষিণ মেহেদীবাগ এলাকায় প্রায় ১০০টি ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি সদর জোন। এসময় খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল (পিএসসি) নিজে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

 

তিনি বলেন গত কয়েকদিন যাবৎ ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা ও ভূমি ধসের কারণে কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উক্ত প্লাবিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের মাঝে খাগড়াছড়ি জোন ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ ত্রাণ খাগড়াছড়ি জোনে কর্মরত সেনা সদস্যদের রেশনের কিছু অংশ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

 

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version