-->

৪ মাজারভক্তের প্রাণহানিতে রেলওয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
৪ মাজারভক্তের প্রাণহানিতে রেলওয়ের তদন্ত কমিটি গঠন
নদী থেকে লাশ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলসেতু পারাপারের সময় ট্রেন চলে আসায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ও কাটা পড়ে ৪ জন নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিভাগীয় রেলওয়ের (ঢাকা) ব্যবস্থাপক ৪ সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন। আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

 

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন রেলওয়ের নিরাপত্তার বাহিনীর একজন সহকারী কমান্ডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা।

 

৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) শফিকুর রহমান বরাবরে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার দিনই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

 

আজ শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে। মেহেদী হাসান আরও বলেন, মাজার শরিফের উরস উপলক্ষে যেহেতু বেশি লোকের সমাগম হয়, সেজন্য এসএসওয়ে/আখাউড়া ট্রেন চালককে মাজার এলাকায় হর্ন দিয়ে দেখে শুনে যাওয়ার জন্য উরসের একদিন আগে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) থেকে আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) এর বার্ষিক উরস শুরু হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার শরিফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে এবং নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। পরে রাতেই দু'জন এবং পরদিন সকালে ও দুপুরে নদী থেকে আরও দু'জনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

 

নিহতরা হলেন নরসিংদীর মাধবদী থানার নোয়াকান্দি গ্রামের গাজী মিয়ার ছেলে শুকুর মিয়া (৬০), একই জেলার পলাশ উপজেলার মোতালেব মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল, (২০) ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার চিলকান্দি গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মতি ভূঁইয়া (৫৫)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম নামের একজন আহত হয়।

 

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ট্রেন আসতে দেখে তাড়াহুড়া করে সেতু পারাপার হতে গিয়ে একজন ট্রেনে কাটা পড়েন এবং বাকিরা নদীতে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা ধারণা করছে, এই ঘটনায় আরো কয়েকজন নদীতে নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version