-->
শিরোনাম

বন্যার আশঙ্কায় আগেই পাট কাটতে শুরু করেছেন কৃষক

আবুল কাশেম, জামালপুর
বন্যার আশঙ্কায় আগেই পাট কাটতে শুরু করেছেন কৃষক
পাট কাটার ফাঁকে মাজাপানিতে দাঁড়িয়েই খাবার সেরে নিচ্ছেন কৃষক

জামালপুর মেলান্দহে পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী জমিতে পানি ঢুকছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। বন্যার আশঙ্কায় সময়ের আগেই তারা পাট কাটতে শুরু করেছেন।

 

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ঘোষেরপাড়া, ঝাউগড়া, নাংলা ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী জমিতে পানি ঢুকছে। তাই পাট কাটার সময় হওয়ার আগেই পাট কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে নদীর পানি পাটখেতের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। তাই পাটের আঁশ ভালো না হতেই পাট কাটতে হচ্ছে। ২০-২৫ দিন পর পাটের আঁশ পরিপক্ব হতো।

 

নাংলা এলাকার কৃষক মানিক বলেন, পাটের ২ মাস বয়স হয়েছে। এখনো পাটের আঁশ পরিপক্ব হয়নি। ২০-২৫ দিন পর আঁশ পরিপক্ব হতো। এখন আমাদের পাট চাষে লাভ হবে না।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার ১ হাজার ৪০০ কৃষকের মাঝে সার ও পাটের বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

 

বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টের গেজ মাপক আব্দুল মান্নান বলেন, বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

 

এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, কয়েক দিন হলো নদীর পানি ঢুকছে। পাট কাটার বিষয়ে আমার জানা নেই।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version