হু হু করে বাড়ছে যমুনার পানি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
হু হু করে বাড়ছে যমুনার পানি
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে গত দুদিন ধরে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এতে শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্য সব নদী ও খাল-বিলের পানি বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে যমুনার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের নিম্নভূমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলও। একই সঙ্গে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি।

 

সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপৎসীমা-১২.৪৫ মিটার)। কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা-১৪.৮০ মিটার)।

 

যমুনার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি ওঠার অবস্থা হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে যমুনা নদীপাড়ের মানুষ।

 

কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চরাঞ্চেলের নিম্নভূমি ও বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতেও পানি উঠতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় গবাদি পশু নিয়ে বিপদে রয়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার জানান, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে ৪/৫ দিন পানি বাড়বে। এর মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা আশঙ্কাজনক অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য