-->
শিরোনাম

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ি মহা-বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ, লোহার এঙ্গেল, টিন ও পুরাতন ইট বিক্রি করে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা না করে পুরো টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর বিন্যাকুড়ি মহা-বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে আবেদন করেছেন মো. রমজান, এবং মো. সাঈদুর।

 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। উক্ত সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষ রোপণ করেন। কালক্রমে গাছগুলো ক্রমশ বড় হয়। গাছগুলিসহ পুরো বিদ্যালয়ের লোহার এঙ্গেল, টিন, ও পুরাতন ইট নিলাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বিক্রি করে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন। যার আনুমানিক মূল্য সাত লক্ষ টাকা। এছাড়াও বিদ্যালয়ের নামে সরকারি বরাদ্দের অর্থ সামান্য পরিমাণে ব্যয় করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। পুরাতন ইট বিক্রির ঘরটির ক্ষেত্রফল ৭৮০ বর্গফুট ও টয়লেটের ক্ষেত্রফল ১৫০ বর্গফুট।

 

এ ব্যাপারে বিন্যা কুড়ি মহা-বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, নতুন টিন আমরা লাগিয়েছি। বিদ্যালয়ের গাছ, লোহার এঙ্গেল, টিন, ও পুরাতন ইট বিক্রি করার নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন কি-না ? উক্ত মালামাল বিক্রয়ের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা করেছেন কি-না? জানতে চাওয়া হলে জানান, এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলাধীন ৪নং ঈসকপুর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটন বলতে পারবেন।

 

একাধিকবার মানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মহা-বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকবাসীরা জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হায়দার লিটন ২০১৭ সাল থেকে ১৩ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন, বর্তমানে তিনি সভাপতির দায়িত্বে নেই, সভাপতি বিহীন চলছে এই বিন্যা কুড়ি মহা-বিদ্যালয়টি।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version