-->
শিরোনাম

পেটে গজ রেখেই সেলাই, তদন্ত কমিটি গঠন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
পেটে গজ রেখেই সেলাই, তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাপশন: গাইবান্ধা ক্লিনিক

গাইবান্ধা জেলা শহরের গাইবান্ধা ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারের সময় পেটে গজ রেখেই অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই প্রসূতি রংপুরের একটি বেসরকারি নাজমা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পেটে গজ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করা হলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে গাইবান্ধা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

শনিবার বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন মো. আব্দুল্লাহেল মাফী। এ ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার একজন নারী কনসালটেন্টকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে গত ২৩ জুলাই গাইবান্ধা ক্লিনিকের পরিচালক ডাক্তার একরাম হোসেনের অপারেশনে এ ঘটনা ঘটে।

 

সিভিল সার্জন ও থানা পুলিশের কাছে করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২৩ জুলাই গাইবান্ধা ক্লিনিকের স্বত্বাধীকারী ডা. মো. একরাম হোসেন রুমি বেগম নামের এক গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। তারপর পাঁচ দিনের মাথায় নানা জটিলতায় শুরু হয় ওই গৃহবধূর। একপর্যায়ে তার অবস্থা খারাপ হলে গাইবান্ধা ক্লিনিকের সেই ডাক্তারের কাছেই নেন তার পরিবার। অবস্থা বেগতিক দেখে ভর্তি করে অপারেশন থিয়েটারে নেন। অপারেশনের পর বের করে একটি কেবিনে ভর্তি করিয়ে রাখেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে পরিবার ও পুলিশের তোপের মুখে গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর রেফার্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার রংপুরের বেসরকারি নাজমা ক্লিনিকের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপারেশনের মাধ্যমে গৃহবধূ রুমির পেট থেকে ময়লা ও পচা অংশ অপসারণ করা হয়েছে। রোগী এখনো শংকামুক্ত নয়। রুমি বেগম গাইবান্ধা সদর উপজেলার পৌর শহরের পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মেজবাহুল হকের স্ত্রী।

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মো. একরাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তৃতীয় সিজার হওয়ার কারণে রুমি বেগমের অপারেশনটি জটিল ছিল। সিজারের পর তার সমস্যার বিষয়টি জানার পর আমরা তার চিকিৎসা করতে চেয়েছি। কিন্তু তার স্বামী আমার এখানে চিকিৎসা করতে রাজি না হওয়ায় আমি তাকে রংপুর উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি। তারপর রোগীর স্বজনরা আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি।

 

এ বিষয়টি জানতে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল্লাহেল মাফী সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটির তদন্ত চলমান।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version