নলছিটিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি আঞ্চলিক সড়কে ভয়াবহ ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে। এতে এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা-মোল্লারহাট রুটে বাস, ট্রাক ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে অটো, মাহিন্দ্রা, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চলাচল স্বাভাবিক আছে। গত কদিনে রটানা ভারি বর্ষণ ও খালে অতিমাত্রায় জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে সড়কে বিশাল আকৃতির ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় সড়কটির ৪০-৫০ মিটার দৈর্ঘ্য রাস্তা সম্পূর্ণ খালে ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় যানবহন চলাচল কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর সঙ্গে সংযুক্ত সুবিদপুর তাফাল বাড়িখালে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের পাশে থাকা গাছের ওজনে রাস্তা ভেঙে খালে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
পথচারী আজিজুর রহমান বলেন, রাস্তার অর্ধেক স্থানে বড় ফাটল ধরেছে। এখনই মেরামত করা না হলে অচিরেই খালের পেটে চলে যাবে। নলছিটি উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাকেরগঞ্জ, মহেশপুর, নেয়ামুতিসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ এই সড়ক পথে প্রতিদিন চলাচল করে।
ঢাকা-মোল্লারহাট বেপারি পরিবহনের কাউন্টার ম্যান সাগর হোসেন বলেন, সড়কটিতে বড় ধরনের ফাটলে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে আছে। এ অবস্থায় পরিবহন চালানো সম্ভব নয়। ঢাকা-মোল্লারহাট রুটে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
তালতলা ও মোল্লারহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত এ সড়কটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত খালের ভাঙন রোধ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা। সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফফ্র খান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি সংস্কার করে ভাঙন থেকে রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সড়কের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলব।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, সড়কে ভাঙনের বিষয়ে তিনি জানতেন না। সড়ক সুরক্ষায় তার অফিসের সহকারী পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিবেন।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য