-->
শিরোনাম

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রংপুর বিভাগে

বাবলুর রহমান বারী, রংপুর
ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রংপুর বিভাগে
রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী

বাবলুর রহমান বারী, রংপুর: রংপুর বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৮৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জন। হাসগাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০২৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় আরো ১২ রোগী ভর্তিসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৭ জন। এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৭ জনে। এসব রোগীদের রমেক হাসপাতালের ৫টি ওয়ার্ডে চলছে ডেঙ্গুর চিকিৎসা। আলাদা কোনো বিশেষ ব্যবস্থা না থাকলেও চিকিৎসায় কোনো ধরনের ঘাটতি হচ্ছে না।

 

রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে তিল ধরনের ঠাঁই নেই। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শনাক্ত হয় মোট ২৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৪২ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১০ রোগী ভর্তিসহ এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২২ জন। এছাড়াও কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, গাইবান্ধা, নীলফামারীসহ ৮ জেলায় নতুন করে ভর্তি ৭৮ জনসহ ৯৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে সব রোগীই ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে আসা।

 

ডেঙ্গু চিকিৎসায় সকল হাসপাতালগুলোতে হঠাৎ রোগীর চাপ বাড়ছে ফলে কিছুটা তৎপর হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের রোগীর চাপ বাড়ছে। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত এসব রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে সাধারণ রোগীদের ইউনিটের পাশেই। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ডের ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্ক কাটছে না চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। তবে রোগীর চিকিৎসায় কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না এমন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থায় কথা বলছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। গত মাসে দিনে হাসপাতালে ভর্তি ২১৮৯ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৬৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন ১৫৯ জন।

 

হাসপাতালে রোগীর স্বজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সামান্য একটা মশারি দিয়ে রোগীদের রাখা হয়েছে। খুব বেশি নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু জ¦র যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে তৎপরতা নেই বললেই চলে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও নীলফামারীসহ রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চিকিৎসারত ডেঙ্গু রোগীদের অভিযোগ- এখানে চিকিৎসা মিললেও কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না তারা। এই রোগীর প্রায় সবাই ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা। এসব রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

 

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মশার উপদ্রব কমাতে বাড়ির আশপাশ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশক নিধন স্প্রে ছিটানোর প্রয়োজন। তবে ঢাকা থেকে লোকজন আসার কারণে রংপুর বিভাগে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা এত বেশি হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version