গত কোরবানি ঈদের পর হতেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিয়েছে ডাবের দাম। কেন ডাবের দাম বাড়াল তার কোনো যুক্তি দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য কেনা বেশি দরে তাই বিক্রি বেশি দরে। তবে কত টাকা পিস কেনা তার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি তারা।
অবশেষে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাজারে চড়া দামে ডাব বিক্রি করার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে ৪ ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের কালিতলা, রেললাইন বাজার ও কোর্ট চত্বর এলাকায় ব্যবসায়ীদের এ জরিমানা করা হয়। ব্যবসায়ীরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিভিন্ন সাইজের ডাব বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।
তবে ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখে দাম কমিয়ে ৫০-৬০ টাকা দরে ডাব বিক্রি করা শুরু করে। তবে এটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
ইফতেখারুল আলম রিজভী বলেন, চড়া দামে ব্যবসায়ীরা ডাব বিক্রি করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সদরের কালিতলা, চাঁদনী বাজার ও কোর্ট চত্বর এলাকায় দেখা যায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে ইচ্ছেমতো ডাব বিক্রি করছেন।
৫০-৬০ দরের ডাব ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছিলেন তারা। তখন কালিতলায় একজন পাইকারকে ৫ হাজার, চাঁদনী বাজারে দুজনকে ২ হাজার এবং কোর্ট চত্বরে এক খুচরা ডাব বিক্রেতাকে ৫০০ টাকাসহ মোট সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত থেকে সঠিক দামে ৩ হাজার ডাব সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়।
ইফতেখারুল আলম রিজভী আরো বলেন, সঠিক মূল্যে ডাব বিক্রি ও ভাউচার সংরক্ষণ করতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে বগুড়া জেলা পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য