নরসিংদীর মনোহরদীতে পাকা সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কটির ম্যাকাডম করা হয়েছে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে দাইরাদী থেকে মনোহরদী সংযোগ সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। দুই কোটি ৮৩ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে তিনটি প্রকল্পের কাজ পায় মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একটি প্রকল্পের ৫০০ মিটার অংশের কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একেবারে নিম্নমানের ইটের খোয়া বা পোড়া মাটি এবং কাদা-বালু দিয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ফলে কিছুদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরুতেই সড়কে নিম্নমানের পচা ইট ব্যবহার করছে। নামেই শুধু সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। বাস্তবে কাজের নিয়ম মানছে না ঠিকাদার। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের একাধিকবার নিষেধ করলেও তারা কথা শুনে না। সড়ক বিভাগ সঠিকভাবে তদারকি না করায় সড়কের এমন হাল। সড়কটির নির্মাণ কাজে নজরদারি করে মানসম্মত কাজ করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক জানান, ‘রাস্তায় পচা ইটের খোয়া এবং বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ঠিকাদার দায়সাড়া কাজ করে যাচ্ছে। আপত্তি করলেও ঠিকাদারের লোকজন এতে কর্ণপাত করছে না। এতে করে রাস্তাটি বেশি দিন টিকসই হবে না।’
মহসীন মাঝি নামে একজন জানান, ‘সরকারের টাকায় রাস্তা হচ্ছে; সেখানে ঠিকাদার ভালো মানের ইট, খোয়া না দিয়ে পোড়ামাটি দিবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। কাজের শুরু থেকেই এমন অনিয়ম চলে আসলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সড়কটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমটাই চাওয়া আমাদের।’
কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজের মালিক বজলুল হক বজলু বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ সঠিক না। কয়েক ট্রাক ইটের খোয়া খারাপ গেছে। এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।’
মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম জানান, ‘সড়কটির কাজের অনিয়মের কথা ফোনে অনেকেই জানিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য