-->
শিরোনাম

পাট চাষ বাড়ছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
পাট চাষ বাড়ছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি
টাঙ্গাইলে পাট জাগ দেয়ায় ব্যস্ত কৃষক

টাঙ্গাইলে ফের পাট চাষ বাড়ছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাটের ফলন বেশি হয়েছে। জেলার ১২টি উপজেলায় এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল ১৮ হাজার ৫০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ১৯ হাজার ২০ হেক্টর। এবার ৯৭০ হেক্টর জমিতে পাট বেশি উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা এ বছর পাট চাষে বেশি ঝুঁকেছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও মাটি চাষের উপযুক্ত হওয়ায় পাট চাষে সফল হচ্ছেন কৃষকরা। জেলার টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার, নাগরপুর, বাসাইল, সখীপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে জমি থেকে পাট কাটা কার্যক্রম। চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ ব্যস্ত জমি থেকে পাট কাটায়, কেউবা ব্যস্ত পানিতে জাগ দেয়ায়, কেউবা ব্যস্ত পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে। সব মিলিয়ে এখন গ্রামাঞ্চলে চলছে পাটের মহাযজ্ঞ।

 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পয়লা গ্রামের কৃষক বানিছ মিয়া বলেন, এবার ৩২ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করেছি। এতে প্রায় ১০ মণ পাট পাব। পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিছুদিন আগে পাটের মণ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা ছিল। এখন বাজার কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকা। এছাড়া পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা বোঝা (একশ আটি)।

 

দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগদেউলী গ্রামের পাট চাষি শাহাদৎ হোসেন বলেন, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। এ আবাদ করতে ও পাট জাগ দিয়ে, শুকিয়ে, বিক্রি করা পর্যন্ত আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় আমার পাট হয়েছে ৯ মণ। এ বছর প্রতি মণ পাটের দাম ২৬০০-২৭০০ টাকা দরে।

 

আমি ৩ বিঘায় ৭২ হাজার ৯০০ টাকার পাট বিক্রি করেছি। খরচ বাদ দিয়ে আমার ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা লাভ হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সব সময় আমাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আগামীতে আমি আরো জমিতে পাটের আবাদ বাড়াব।

 

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, জেলায় চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। পাট আবাদের সময় আমরা দেখি ভারতীয় বীজের প্রতি কৃষকের চাহিদা বেশি থাকে। বিজেআরআই-৮ যেটা রবি-১ নামে পরিচিত। আমরা এবছর রবি-১ জাতের বীজ বেশি সরবরাহ করেছি। দেশীয় পাটের মধ্যে এ জাতটি সবচেয়ে ভালো। এ জাতটি এবার প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, আমরা কৃষকদের পাট চাষে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগতভাবে সহযোগিতা দিয়ে জেলায় আবাদ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাটের বাজার মূল্য বেশি থাকায় পাট চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version