-->
শিরোনাম

কাঠের তৈরি জোড়াতালির ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
কাঠের তৈরি জোড়াতালির ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে হাজার হাজার লোকের পারাপার

দশমিনা উপজেলার নদী বেষ্টিত চরবোরহান ইউনিয়নে প্রায় ৩ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি। বিভিন্ন সূত্রে যানা যায়, দশমিনা উপজেলার চরবোরহান পাগলা বাজার নামক স্থানে ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর শাখার খালের ওপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি ২০১৭ সালে নির্মাণ করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

 

জানা যায়, ২০১৭ সালের প্রায় শেষের দিকে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু নির্মাণের ৩-৪ বছরের মধ্যে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে যানবাহন ও স্কুল শিক্ষার্থীসহ দৈনিক হাজার হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগে পরে।

 

এ বিষয়ে ৪নং ওয়ার্ড পাগলা বাজার গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনিচুর রহমান, মিজানুর রহমান, ও সিকদার মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, কাঁঠ দিয়ে জোড়াতালি দেয়া ব্রিজটি এখন ভয়াবহ জরুরি কোনো রোগী ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য আনতে পারে না কেউ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে হয়। এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় অনেক সময়। তাই অতি দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা না হলে দুর্ভোগ লেগেই থাকবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।

 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, মুলত আমাদের ব্যবসায়িক সুবিধা এবং জনগণের সুবিধার কথা ভেবেই এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এখন ব্রিজটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য অনুরোধ রইল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাগলা বাজার নদীর ওপর এ ভাঙা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি মাঝে মাঝে কাঁঠ দিয়ে মেরামত করা। যদি ভেঙে পড়ে তাহলে এলাকাবাসীসহ হাজার হাজার মানুষের আশা যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এবং দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ না করা হলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

 

এ বিষয়ে চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজির আহম্মেদ সরদার বলেন, চরবোরহান ইউনিয়নে আমি চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর জনগণের সুবিধার্থে ব্রিজটি এখানে স্থাপন করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে উপজেলায় যেতে হয়। এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে পাড়াপার হতে হয় স্কুল শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

 

তিনি আরো বলেন, আমি উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানতে পেরেছি ত্রাণ অফিসের মাধ্যমে ব্রিজটি নাকি টেন্ডার হয়েছে। তাই যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা হওয়ার আগে উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাই। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মকবুল হোসেন বলেন। জনগণ চলাচলের উপযোগী করার লক্ষে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version