-->
শিরোনাম

২০ বছর আগে পাচার হওয়া সন্তানকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
২০ বছর আগে পাচার হওয়া সন্তানকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি
শ্রীমতি রেখা রানী

প্রায় ২০ বছর আগে ভারতে পাচার হওয়া সন্তানকে ফিরে পেতে আকুতি জানিয়েছেন শ্রীমতি রেখা রানী নামের এক আদিবাসী নারী। রেখা রানী গোমস্তাপুর উপজেলার দেওপুরা-শেখপাড়ার শিবেন্দ্র এককার স্ত্রী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত আবেদন করেন তিনি।

 

লিখিত আবেদনে আদিবাসী এ নারী উল্লেখ করেন, ‘২০ বছর আগে তার ছেলে দিলিপ এককা যখন ৩ বছর বয়সি, তখন বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এসময় আমার স্বামীর সহদর ভাই শ্রী যতীন এককা তাকে বুঝিয়া আত্মগোপনে নিয়ে যায়।’

 

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমার ভাশুর শ্রী যতীন এককা আমার ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। এর পরে বিভিন্ন সালিশ করে ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। এমনকি ছেলের অবস্থান জানতে পারলেও অসহায়ত্বের কারণে ছেলেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এমনকি ছেলেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে আমার ভাশুর ও তার স্ত্রী পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়াসহ হয়রানির হুমকি দিচ্ছে।

 

এবিষয়ে রেখা রানী অভিযোগ করে বলেন, এখন যে বাড়িতে বসবাস করছি, সে বাড়ি ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছে শ্রী মুকিন এককা। বাড়ি ছেড়ে না গেলে বড় ছেলে দিলিপ এককার মতো ছোট ছেলে জয়ন্ত এককাকেও ভারতে পাচার করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বড় ছেলে তাকে উদ্ধারের জন্য প্রায় তিন মাস আগে ছোট ভাইকে ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করেছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা ঝুরকুনি এককা বলেন, ছোট বাচ্চাকে পরিকল্পনা করে ভারতে পাচার করা হয়েছে। বাচ্চা হারানোর পর থেকে বুকে যন্ত্রণা নিয়ে ছেলে উদ্ধারে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রেখা রানী। পাচার হওয়া ছেলেকে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়া হোক।

 

ধামুইরহাট উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও পাচারকৃত দিলিপের চাচাতো বোন সাবিনা এককা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কাকি আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুণœœ করতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। যার কোনো সত্যতা নাই। তবে মকিন এককার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

Beta version