শীতকালীন সবজির আগাম চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার চাষিরা। এরই মধ্যে কোনো কোনো জমিতে জন্মাতে শুরু করেছে নানা ধরনের শাকসবজি। আগাম সবজি চাষে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই দিক মাথায় রেখেই ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩২৮ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাষ উপযোগী আবহাওয়া থাকলে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষক। এসব জমি পরিচর্যা করছেন তারা। এ সময় কৃষকরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এ অঞ্চলে আগাম জাতের সবজির উৎপাদন ভালো হবে। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, মুলা, লাউ, লালশাক, পালংশাকসহ নানা ধরনের সবুজ শাকসবজি।
আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করলে বাজারে বেশি দাম পাওয়া যায়। তাই পুরোদমে চলছে মাঠ প্রস্তুত, বীজ বপন, চারা রোপণ ও পরিচর্যার কাজ। চলতি মৌসুমে সবজির উৎপাদন ভালো হবে বলে প্রত্যাশা কৃষকদের।
স্থানীয় কৃষক সোহেল রানা বলেন, এ বছর শীতকালীন সবজি উৎপাদন করে উপযুক্ত সময়ের আগেই আমরা সবজি বাজারে তুলতে চাই। এ জন্য একটু আগেভাগে সবজি চাষ শুরু করেছি। আশা করছি, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকবে এবং ভালো ফলন ও দাম পাব।
চাষি সরু মিয়া বলেন, টমেটো, পুঁইশাক, শশা, ফুলকপি ও মুলা চাষ করতে জমি প্রস্তুত করেছি। চারাও রোপণ উপযোগী হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া ভালো পেলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি বাজারেও বিক্রি করতে পারব।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান বলেন, শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদনে কৃষি বিভাগ কৃষকের সঙ্গে সরাসরি মাঠে কাজ করছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক আগাম সবজি চাষে লাভবান হবেন। আশা করছি, আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য