-->

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে সাধারণ মানুষ

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে সাধারণ মানুষ
ক্যাপশন: ধামরাইয়ের সবজি বাজার

হিসাব মিলাতে পারছে না সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। বাজার মূল্য প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে, সকালে এক দাম বিকেলে আবার আরেক দাম। দ্রব্যমূল্য এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

 

ধামরাইয়ের বিভিন্ন বাজার ঘুরে কাঁচামালসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম জানা যায়, প্রতি কেজি আলুর দাম ৪৫-৫০ টাকা, রসুনের প্রকারভেদে ২০০-২৪০ টাকা, পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ৭০-৮০ টাকা, আদা প্রকার ভেদে ২০০-২৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ফুল কপি ১০০ টাকা, করলার কেজি ১০০ টাকা, মুখি কচু ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ কেজি, লাউ ৬০ টাকা পিস, পাতা ৫০ টাকা, বেগুন প্রকার ভেদে ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ও সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪-৫ টাকা, বয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি, ডিম ৩৫০ টাকা কেস, গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি, চিনি ১৬০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজি।

 

সাধারণ ক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, ১ হাজার টাকার বাজার করতে এসে চিন্তায় পড়ে যাই কাঁচা বাজার করব নাকি বাচ্চাদের জন্য একটু মাছ মাংস নেব, নাকি চাল ডাল নিব হিসাব মিলাতে পারছি না। ১ হাজার টাকা আয় করতে সময় লাগে ২ দিন অথচ ১ হাজার টাকার বাজারে যেন ৪ দিনও সংসার চলে না। তাহলে আমরা সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছি স্বল্প টাকা আয় করি তাহলে আমাদের সংসার চলবে কীভাবে। সরকারের কাছে আমার একটাই দাবি, অতি দ্রুত দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে মানুষকে বাঁচতে দিন এবং সেই সাথে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করার জন্য জোর দাবি জানাই যাতে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম না বাড়াতে পারে।

 

এ সময় সবজি বিক্রেতা সাক্কু সরকার বলেন, প্রতিটা সবজির দাম বাড়ায় আগের মতো বিক্রয় হয় না। মানুষের কাছে এখন আগের মতো টাকা নেই এটা আমরাও বুঝি। মানুষের হাতে টাকা থাকলে খরচ করতে পারে, আর টাকা না থাকলে সে খরচ করবে কি করে। আগের মতো বেচাকেনা নেই, দোকানে সারা দিনে আগে ৬-৭ হাজার বিক্রয় হতো, আর এখন বিক্রয় হয় সারা দিনে ৩-৪ হাজার টাকা। তাই আমিও মনে করি, প্রতিটা মানুষের আয় আরো বাড়াতে হবে যাতে করে একজন মানুষ তার পরিবার নিয়ে সুন্দর মতো চলতে পারে।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version