-->
শিরোনাম

কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
কবরস্থানের জায়গা দখলের অভিযোগ

অভিনব কৌশল অবলম্বন করে কবরস্থানের জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও কোনো সুরাহা হয়নি। নিরুপায় হয়ে কবরস্থান দখলমুক্ত করতে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে লোহাগড়া উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের এড়েন্দা গ্রামে।

 

স্থানীয়রা জানান, কবরস্থান দখল করাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থান সরিয়ে ফেলতে কবরস্থানের পাশের জমির মালিক জিয়া মোল্যা জমির সীমানা জড়িয়ে গভীর গর্ত করে পুকুর খনন করেছেন। ফলে করবস্থান ভেঙে পুকুরের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় কোনো কবরস্থান না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল বাশারের পরিবার নিজ জমির প্রায় ৪৮ শতাংশ জমি দানপত্র করে দেন এলাকার মুসলমানদের দাফন কাফনের জন্যে। কিন্তু নাসির ও মিজান সেখান থেকে মাটি কেটে গভীর গর্ত খুঁড়ে সেই মাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার ও এলাকাবাসী মাটি কাটতে বাধা সৃষ্টি করলে জিয়া মোল্লা গর্তটি বালি দিয়ে ভরাট করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

 

কিন্তু জমির মালিক জিয়া মোল্লা গর্তটি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বালি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ না করায় এলাকার একমাত্র কবর স্থানটি ও আশপাশের বসবাসরত বাসিন্দা আমির হোসেন, মিহির, জহুর, রমজানসহ একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে গোরস্থান ও আশপাশের বাড়িঘর ও পাকা রাস্তাটি।

 

ক্ষতিগ্রস্ত আমির হোসেন বলেন, আমি একজন অসুস্থ পঙ্গু অসহায় মানুষ। শ্রম বিক্রি করে কোনোরকমভাবে সংসার চালায়। দিন আনি দিন খাই এইটুকু জমির ওপর এই ঘর ছাড়া আমার আর কিছুই নাই। আমি জিয়া মোল্লাকে অনেকবার বলেছি এখান থেকে মাটি কেটে গর্ত করলে আমার বাড়িঘর সব ভেঙে যাবে। এ ছাড়া এলাকার একমাত্র কবরস্থান ও যাতায়াতের পাকা রাস্তাটিও ভেঙে যাবে। এ কথা তিনি কর্ণপাত না করে চলে যান।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসারের স্ত্রী বলেন, আমরা গ্রামের মানুষের কথা ভেবে ওই জায়গাটি কবরস্থানের জন্য দান করেছি। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাশারসহ গ্রামের অনেককেই দাফন করা হয়েছে। কিন্তু এর পাসের জমির মালিক অন্যত্র লিজ দিয়ে সীমানাজুড়ে পুকুর কাটায় কবরস্থান ও মেইন পাকা সড়কটিসহ একজন পঙ্গু অসহায়ের বাড়ির অংশ পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে।

 

কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, আমি জিয়া মোল্লাকে মাটি ভরাট করে গর্ত বন্ধ করে দিতে বলেছি। দীর্ঘ ১ বছর হয়ে গেলেও মাটি ভরাটের কাজ করেনি। লোহাগড়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, সবে জানলাম। আমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসারকে বলছি। ঘটনার সত্যতা পেলে পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version