খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। আদালতের পাশেই স্মৃতিসৌধ এলাকার সীমানার মধ্যে এ ধরনের অবৈধ দোকানপাট গড়ে ওঠায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সরকারি জায়গায় এ ধরনের কোনো অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠার কোনো সুযোগ নেই এবং প্রয়োজনে উচ্ছেদ করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদালত এলাকার জেলখানা রোডের পাশেই স্মৃতিসৌধের সীমানার মধ্যে উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গায় ৭ থেকে ৮টি অবৈধ দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি দোকান সচল রয়েছে। প্রতিদিন তারা ওই দোকানে নিয়মিত ব্যবসা করছেন। বেশিরভাগ দোকান চা-স্টল হওয়ায় বিভিন্ন লোকের সমাগম ঘটছে দোকানগুলোতে।
এতে একদিকে যেমন আদালত ও স্মৃতিসৌধের মূল সৌন্দর্য ম্লান হচ্ছে। অন্যদিকে এরপাশেই রয়েছে পাইকগাছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পৌরসভা পরিচালিত আদর্শ শিশু বিদ্যালয়। যার ফলে স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিব্রত বোধ করছে স্কুলের ছাত্রীরা।
এ ছাড়া জনগুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে। এমনটাই মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী। খোদ উপজেলা পরিষদের জায়গায় এমন অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে জনৈক ব্যক্তির সহযোগিতায় দোকান ঘর তৈরি করেছেন বলে জানান ব্যবসায়ী অহেদুজ্জামান লিটন। মডেল মসজিদের রাস্তা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই স্থানে দোকান করেছেন বলে জানান আরেকজন ব্যবসায়ী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান, সরকারি কোনো জায়গা দখল করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। যদি কোথাও এ ধরনের অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য