-->

গৌরীপুরের প্রধান সড়ক বেহাল, জনদুর্ভোগ চরমে

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
গৌরীপুরের প্রধান সড়ক বেহাল, জনদুর্ভোগ চরমে
পৌরসভার প্রধান সড়কের পাটবাজার এলাকা থেকে তোলা ছবি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার বালুয়াপাড়া মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত প্রধান সড়কটিতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে খানাখন্দক ও গর্তের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। পৌর শহরের বালুয়াপাড়া মোড় থেকে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার গিয়াস উদ্দিনের বাসার দু’পাশে ৫টি খন্দকের সৃষ্টির কারণে যানবাহন চলাচলে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

 

কালিপুর মধ্যম তরফের মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ থেকে গৌরীপুর থানার গেইট পর্যন্ত রয়েছে ছোট-বড় ১৩৮টি খানা-খন্দক। পাটবাজার মোড়ে বটগাছতলায় ভাঙনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গর্তের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। শহরে উত্তরবাজার মোড়ে ভাঙনরোধে দেয়া ইটের সলিং এখন বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ইটের সলিংয়ে গাড়ি উঠতে ও নামতে উল্টে পড়ছে।

 

নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়, জাগরণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাদেক মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন, সায়মা সাহাব একাডেমির সামনে ভাঙনে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। উত্তরবাজার গ্রামীণব্যাংকের সন্নিকটে ২৯টি গর্ত। এরমধ্যে ৩টি গর্তে পড়ে প্রায়ই গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। রেলস্টেশন মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। এসব গর্তের কারণে রোগীবাহী পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন, জনস্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার-মেরামত প্রয়োজন। তা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে গৌরৗপুর ব্যবসায়ী ঐক্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আনিছ তার ফেসবুকে একাধিক ছবি সংযোজন করে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেন, যে ছবি গুলো দিয়েছি সেগুলো হলো গৌরীপুর বাজারের মেইন রোডের বর্তমান অবস্থা। আমরা গৌরীপুরবাসী কতটা দুর্ভাগা তা আমাদের আশপাশের উপজেলা ও পৌরসভা গুলোর সঙ্গে তুলনা করলেই বুঝা যায়।

 

এদিকে ‘দ্রুত এই রাস্তাটি প্রশস্ত করে টেকসই উন্নয়নের মন্তব্যজুড়ে দিয়ে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন ‘আমরা যারা মাঠ পর্যায়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করি বা ২৪ ঘন্টা গৌরীপুর থাকি তারাই বুঝতে পারি গৌরীপুর এর মানুষের সুবিধা-অসুবিধা কি? কারণ তাদের কাছে আমাদের জবাবদিহিতা থাকে সবসময়। সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ এ বিষয়টা নিয়ে কথা বললে আশা করি এর একটা সমাধান আসবে।

 

এ মন্তব্যের নিচে মন্তব্য করেছেন গৌরীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)-এর প্রকৌশলী অসিত বরণ দেব। তিনি লিখেছেন ‘রামগোপালপুর টু শ্যামগনঞ্জ ভায়া গৌরীপুর বাজার সড়কটি এলজিইডির আওতাভুক্ত হলেও সড়কটির যেটুকু অংশ পৌরসভায় পড়েছে সে অংশটুকু বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভা মেরামত করতে পারে।

 

সড়কটি এলজিইডির একটি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত আছে যা অনুমোদনের অপেক্ষায়, কিছু সময় লাগতে পারে। তবে পৌরসভা এলাকায় বাজারের কিছু অংশে বেশি খারাপ হওয়ায় ওভার লোডেড গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের নেতৃত্বে পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, এলজিইডি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় খুবই জরুরি।’

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কটি ভাঙা আর খানা-খন্দকের ছবি, গাড়ি উল্টে থাকা ছবি নিয়ে নেটিজেনরা প্রায় প্রতিদিনেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তবে রাস্তা মেরামতে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বরণ দেব জানান, রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের জন্য প্রকল্প ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version