-->
শিরোনাম

নির্মাণের ১৩ বছরেই জরাজীর্ণ সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্মাণের ১৩ বছরেই জরাজীর্ণ সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়টি
সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় ফুলবাড়ী, দিনাজপুর

ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটির ঠিকাদার নিম্ন মানের কাজ করায় নির্মাণের ১৩ বছরেও জরাজীর্ণ। সহকারী কমিশনার ভূমি, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাঙা ঘরে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এদিকে তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমির দায়িত্বে থাকা শামীমা আক্তার জাহানের নেতৃত্বে জরাজীর্ণ ভবনের উপরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রেকর্ড রুম নির্মাণ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেননি। এই জরাজীর্ণ ভবনে ব্যয় করা সরকারের অপচয়।

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ছিল দুইশ বছরের পুরোনো ভবন। সেই ভবনটিতে স্বাধীনতার পর থেকে সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে অফিস চলছিল। কিন্তু অফিস ভবনের ছাদ দিয়ে অনবরত পানি পড়ায় সেখানে অফিস করা সম্ভব ছিল না। অফিসে রক্ষিত রেকর্ড রুমেও পানি পড়ত। সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা দেখে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের নিজস্ব রাজস্ব ফান্ড থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা দিয়ে টেন্ডার করলে ঠিকাদারের মাধ্যমে ২০০৯ সালে কাজটি শুরু করেন।

 

১০ জুলাই ২০১০ সালে তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি ভবনটি উদ্বোধন করেন। কাজটির শুরু থেকে ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক ঠিকাদার ভবনটির কাজ না করায় বর্তমান ভবনটির ছাদ খুলে পড়ছে, ওয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। জানালা দরজা নষ্ট হয়ে গেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জরাজীর্ণ ভবনে বসে অফিস করছে। সেখানে ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র রাখা সম্ভাব হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে সরকারি টাকা পেলে ভবনটি সংস্কার করছেন তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের বেহাল অবস্থা। সেখানে গাদাগাদি করে অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা তফসিল অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখার রেকর্ড রুমটিও স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় রয়েছে। এখানে নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখা না হলে ভবিষতে রেকর্ড রুমে রক্ষিত কাগজগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

১০ বছরের নির্মাণকৃত একটি রুমে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার বসে তার অফিসিয়াল কাজকর্ম করছেন। সেই ঘরে ৫ জন লোক ঢুকে কাজ কর্ম করতে পারে না। ৪টি রুমের অবস্থা অত্যন্ত করুন।

 

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর আরিফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখানে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা আমার জানা নেই। পূর্বের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তা বলতে পারবেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version