-->

দায়িত্ব ছাড়তে শিক্ষককে অনৈতিক চাপের অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
দায়িত্ব ছাড়তে শিক্ষককে অনৈতিক চাপের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ভালুকায় নুপুর আক্তার নামে এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে অনৈতিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমদ ও সহকারী শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসাইনের বিরুদ্ধে।

 

জানা গেছে, হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়াই উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসাইন গত কয়েকদিন ধরে মোবাইল ফোনে নুপুর আক্তারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষিকা মাহমুদা আক্তারকে ফোনে এটিও দেলোয়ার হোসাইন দায়িত্ব নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এর আগেও নুপুর আক্তারকে অন্যত্র বদলি করার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সুপারিশ করেও ব্যর্থ হয়েছেন টিও সৈয়দ আহমদ। ভালুকায় যোগদানের পর থেকেই টিও-এটিওর এহেন কর্মকান্ডের বিতর্কিত হচ্ছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

 

নুপুর আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই উপজেলা শিক্ষা অফিসের এমন চাপের খবরে অসন্তোষ বিরাজ করছে স্কুলের অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের মধ্যে। এখানে বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র বা অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিদ্যালয়ের জমি দখলমুক্ত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক মাপজোক হওয়ার পরও স্কুলের জমি দখল করে এখনো পেঁপে বাগান করছেন সাইফুল ও তার মেয়ের জামাতা ঠিকাদার রমিজ খান। সেখানে কোনো অদৃশ্য ক্ষমতাবলে এবং আর্থিক সুবিধা নেয়ার কারণেই পেঁপে বাগানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন একাধিক এলাকাবাসী।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছর একই এলাকার আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে চুরি, দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার পরেও চাকরিতে বহালসহ নানা গুরুতর অভিযোগের আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা করেননি বরং সেটি ধামাচাপা দিয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা। গতমাসে উপজেলার ৭১নং কাদিগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নুপুর আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে বহাল রাখতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিভাবক, ওই স্কুলের কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে আলাদা ৩টি আবেদন করা হয়েছে।

 

অভিযোগের ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসাইনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বারবার তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে ফোন দেবেন বলে কল কেটে দেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version