গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস উদ্বোধন করলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি।
বুধবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে পাঁচতলা বিশিষ্ট ১০০ শয্যার এ ছাত্রাবাসটির উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার কমানোসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে।
আজকের শিক্ষার্থীরাই একদিন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- বলে মন্তব্য করে হুইপ গিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে শেখ হাসিনা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করে দেন। ফলশ্রুতিতে বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিগত ১৪ বছরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের এবারের স্বপ্ন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ -এই চারটি ভিত্তির ওপরে প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক আনিসা আকতার চৌধুরীর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল আহমেদ, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান আসাদুল ইসলাম আসাদ, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আসিফ সরকার, ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি নাইমুল ইসলাম বিশাল, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
কলেজ সূত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলা শহরের কলেজ রোডে ১৯৪৭ সালে ১৩ একর জমিতে কলেজটি গড়ে ওঠে। ১৯৮০ সালে সরকারীকরণ হয়। ১৯৫৬ সালে পাস কোর্স এবং ১৯৯৬-৯৭ সালে ১৪টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) শাখা চালু হয়। স্নাতকোত্তর শ্রেণি চালু হয় ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে কলেজে শিক্ষার্থীসংখ্যা ১১ হাজার ৩৩৬।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধা কার্যালয় সূত্র জানায়, গাইবান্ধা সরকারি কলেজে ছাত্রদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি, কিন্তু কলেজটিতে ১০০ শয্যার ছাত্রীনিবাস থাকলেও ছিলোনা কোন ছাত্রাবাস। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি ১০০ শয্যার ৫ তলাবিশিষ্ট এই ছাত্রাবাস নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নির্মাণব্যয় ধরা হয় ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। পঞ্চগড়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ ট্রেডার্স এ কাজের দায়িত্ব পায়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য