-->
শিরোনাম

রংপুরে বাড়ল কাঁচা মরিচের ঝাঁজ

রংপুর ব্যুরো
রংপুরে বাড়ল কাঁচা মরিচের ঝাঁজ
রংপুরের কাঁচা মরিচের পাইকারি বাজার

রংপুর বাজারে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৬০-৮০ টাকা। ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে। একই সঙ্গে কমেনি আলু-পেঁয়াজের দামও। গত সপ্তাহের মতোই দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম গত সপ্তাহের মতোই ৪০ টাকা, সাদা দেশি আলু ৫৫ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫০-৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আটা, রসুন ও শিমের দাম কিছুটা কমেছে। তবে দু-একটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশ রয়েছে আগের মতোই। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, ডিম ও পোলট্রি মুরগির দাম।

 

পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৪৮ টাকা, দেশি আদা (পুরাতন) ২৬০ টাকা, নতুন ২০০ টাকা ও ভারতীয় আদা ২২০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ১১০-১২০ টাকা, গাজর ১২০-১৩০ টাকা, প্রতিপিস চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, চিকন বেগুন কিছুটা কমে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৭৫-৮০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪০-৪৫ টাকা, ধনেপাতা ১২০-১৩০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙে ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকা, কচুরবই ৫৫-৬০ টাকা, শিমের দাম কিছুটা কমে ২৩০-২৪০ টাকা থেকে হয়েছে ১৮০-২০০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০-১২০ টাকা, মুলা ৪৫-৫০ টাকা, দেশি রসুন ২৬০-২৮০ টাকা থেকে কমে ২২০-২৪০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

 

সম্প্রতি আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে শহরের ৪ জায়গায় ৩৫ টাকা কেজি দরে ট্রাকে আলু বিক্রি শুরু হলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েনি। টার্মিনাল বাজারে আলু কিনতে আসা হারুন মিয়া বলেন, আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে যে আলু বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা ভালো। তবে টার্মিনাল থেকে প্রধান ডাকঘর, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও শাপলা চত্বর এলাকায় ওই দামে আলু কিনতে গেলে যে পরিবহন খরচ হবে তার চেয়ে এই বাজারেই আলু কেনা লাভজনক।

 

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিন বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং আমদানি কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে। সামনের দিনে আরও বাড়বে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০-১৭৫ টাকা এবং দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এছাড়া খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৩৫-১৪০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা ও খোলা আটা ৫০ টাকা থেকে কমে ৪৫ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version