-->

বগুড়ায় ৭০৭টি মন্ডপে পূজা প্রস্তুতি শেষের পথে

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় ৭০৭টি মন্ডপে পূজা প্রস্তুতি শেষের পথে
বগুড়ার পূজামন্ডপে চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

আর মাত্র কয়েক দিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে বগুড়ায় সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ৭০৭টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয়া দুর্গাপূজা। পূজা উদযাপনকে ঘিরে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

 

জানা যায়, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় বরাবরের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজটমুক্ত, মাদকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং দুর্গাপূজাকে সার্বজনীন করে তুলতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হচ্ছে।

 

বগুড়া শহরের চেলোপাড়া নববৃন্দবন হরিবাসর মন্দির গিয়ে দেখা যায়, নিপুণ হাতে কাঁদামাটি, খড়, বাঁশ, সুতলি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে দম ফেলারও সময় নেই তাদের। তবে নিত্যপণ্যের সাথে বেড়েছে খড়, মাটিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম। এবার ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করছে শিল্পীরা। এ ছাড়াও সৌন্দর্য বর্ধনে মন্দিরগুলোতে চলছে নানা আয়োজন।

 

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর বগুড়া জেলায় ৭০৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বগুড়া সদর উপজেলায় ১২২টি মন্ডপে। এ ছাড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার ২৩টি মন্ডপে, সোনাতলায় ৫৫টি, শিবগঞ্জে ৬১টি, আদমদীঘিতে ৬৬টি, দুপচাঁচিয়ায় ৪২টি, কাহালুতে ৩৭টি, নন্দীগ্রামে ৪৬টি, শেরপুরে ৯৪টি, ধুনটে ৩৮টি, গাবতলীতে ৭৩টি ও শাজাহানপুরে ৫০টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা পুলিশ। পূজামন্ডপে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। বিপুলসংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। নিরাপত্তার জন্য মন্ডপে মন্ডপে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এ ছাড়াও প্রতিটা মন্দিরে আনসার বাহিনীর সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে থাকবে।

 

তিনি আরও জানান, পূজার আগে, পূজা চলাকালে ও প্রতিমা বিসর্জনের সময় তিন ভাগে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পূজায় মাদকের অবাধ বিস্তাররোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।

 

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়ার সবকটি উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শাদরীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিমা তৈরির সময়ে যাতে প্রতিমার কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য আয়োজক কমিটিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version