-->
শিরোনাম

জনবল সংকটে ডাকসেবায় ভোগান্তি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
জনবল সংকটে ডাকসেবায় ভোগান্তি
গৌরীপুরের প্রধান ডাকঘরের জরাজীর্ণ অবস্থা

জরাজীর্ণ ভবনে চলছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের প্রধান ডাকঘরের কার্যক্রম। ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়ছে। দরজা-জানালাও ভাঙা। জনবল সংকটের কারণে সেবা কার্যক্রমে গ্রাহকদের বাড়ছে ভোগান্তি। ডিজিটাল পোস্ট অফিসের সেবা কার্যক্রমের নিয়োগকৃত উদ্যোক্তরা লাপাত্তা। কোটি টাকার ডিজিটাল পোস্ট অফিস কার্যক্রমের এসব যন্ত্রপাতিও বিকল হয়ে পড়ে আছে।

 

এক সময়ের জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল ডাক বিভাগ। চিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল এটি। বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে।

 

তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবন বিমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে পোস্ট অফিসের গুরুত্ব অপরিহার্য। এসব কারণে এখনো বহু গ্রাহক প্রতিদিন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পোস্ট অফিসে আসেন তাদের কাক্সিক্ষত সেবা গ্রহণ করতে।

 

এসব সেবাদানের জন্য এ উপজেলায় প্রধান ডাকঘর ছাড়াও ১০টি ইউনিয়নে রয়েছে আরো ১৪টি ডাকঘর। ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত সিংহভাগ ডাকঘরগুলোর বিরুদ্ধে রয়েছে নির্ধারিত সময়ে ডাক কার্যক্রম না করার নানা অভিযোগ। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ডাকঘরে প্রতি মাসে ৪,৩০০ টাকা পারিশ্রমিকে একজন পোস্টমাস্টার, ৪ হাজার ১৭১ টাকা পারিশ্রমিকে পোস্টম্যান ও ৪ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে রয়েছেন ১ জন রানার।

 

এ উপজেলার রামগোপালপুর, ভবানীপুর, ডৌহাখলা, সাখুয়া মাঝেরচর, শাহগঞ্জ, গিধাউষা, মাওহা, কিল্লাতাজপুর, ভ‚টিয়ারকোনা, বীর আমুদপুর, পাছারবাজার, লামাপাড়া, রেলওয়ে আরএস ও মুখুরিয়ায় পোস্ট অফিস রয়েছে। উপজেলার প্রধান ডাকঘরের ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তার উঠে গেছে। ছাদ চুয়ে ভেতরে পানি পড়ে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেন উপজেলা পোস্টমাস্টার বাবুল চন্দ্র দাস।

 

তিনি জানান, ভবনের কারণে আমরাও চরম দুর্ভোগে আছি। তিনি আরো জানান, এ পোস্ট অফিসে ৩ জন রানার এর মধ্যে ২ জনের পদশূন্য, অপারেটর ২ জনের মধ্যে ২ জনের পদই শূন্য ও পোস্টম্যান ৩ জনের স্থলে আছেন মাত্র ১ জন।

 

তিনি জানান, ডাক বিভাগকে ডিজিটাল পোস্ট অফিসে পরিণত করার জন্য প্রত্যেকটি পোস্ট অফিসে একজন করে উদ্যোক্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কাংক্ষিত আয় না হওয়ায় সব ডাকঘরের উদ্যোক্তারা চলে গেছেন। এ খাতে দেয়া কম্পিউটার ও ডিজিটাল মেশিনের নানা যন্ত্রাংশ বর্তমানে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। শুধুমাত্র রামগোপালপুর পোস্ট অফিসের মেশিনটি সচল রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version