-->

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস
ধামরাইয়ের একটি সবজি বাজার

ঢাকার ধামরাইয়ে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পর দাম বেড়েছে কাঁচামালসহ গ্যাস সিলিন্ডারের। এতে করে ক্রেতারা বাজারে গিয়ে তার পছন্দের বাজার না করে বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ১ হাজার টাকায় ৩ দিনের বাজারও ঘরে আসে না। তাহলে মানুষ খাবে কি, চলবে কীভাবে। নানারকম জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেন পাহাড় সমান। ন্যূনতম কাঁচাবাজার করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সাধারণ মানুষ। এতে তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।

 

ধামরাইয়ের জসিম নামের এক ভ্যানচালক বলেন, খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। সব কিছুর দাম বেশি। বাজারে এসেছিলাম ২ হাজার টাকা নিয়ে। ইচ্ছে ছিল ইলিশ মাছ কিনব। কিন্তু বাজারে আসার পর চাল, ডাল, তেল ও কিছু সবজি কেনার পর যে টাকা আছে তা দিয়ে আর ইলিশ মাছ কেনা হবে না। মন চাইলেই এখন ভালো কিছু কেনা সম্ভব নয়। সবকিছুর যে পরিমাণে দাম বাড়ানো হচ্ছে, সে পরিমাণ আমাদের আয় বাড়েনি।

 

এ বিষয়ে গার্মেন্টস কর্মী মঞ্জুয়ারা আক্তার বলেন, রাতদিন ওভারটাইম করে ১০-১২ হাজার টাকা বেতন পাই। ২ হাজার টাকা বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, নিজের খাবার টাকা, ছেলে মেয়ের স্কুল খরচ এই টাকায় কি করে হয় বলতে পারেন। তারমধ্যে সবকিছুর দাম বাড়তি। এখন মনে হচ্ছে মৃত্যু ছাড়া আর উপায় নেই। তাই আমি বলব, অতি দ্রুত আমাদের মতো সব গার্মেন্টস কর্মীর কথা একটু চিন্তা করে হলেও আমাদের বেতন ২০ হাজার টাকা করা হোক।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটা বাজার মূল্য- আলু প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আদা ২৬০-২৮০, রসুন ২৪০-২৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মূলা ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৭০-২৮০ টাকা, শিম ১৬০ টাকা। এ ছাড়াও প্রতিটা মাছ-মাংসের দাম আকাশছোঁয়া।

 

এক বিক্রেতা বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ায় এখন আর মানুষ আগের মতো বাজার করে না। আমরা বেশি দামে কিনে এনে কম টাকায় তো আর বিক্রয় করতে পারি না। দিন শেষে দেখা যায় অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো আর পরের দিন বিক্রয় করতে পারি না। আমরাও লস দিচ্ছি বিভিন্নভাবে। ব্যবসা এখন আর আগের মতো নেই।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version