অভাবের সংসারের হাল ধরতেই এক সময়ের শুরু করেন সেলাই কাজ। আর সেই নকশীকাঁথা সেলাই করে ভাগ্য বদলেছে ভোলা সদর উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বড়মিয়া বাড়ির বাসিন্দা সেলিনা আক্তারের। সেলিনার স্বামী যা আয় করত তা দিয়ে দুই মেয়ে ও স্বামী-স্ত্রী নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো। সেই কষ্ট লাঘব করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেন নিজে কিছু করার। সেই চিন্তা থেকেই ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নেন ২০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া নিজের বিয়ের নামমাত্র গহনা এবং পরনের পুরোনো কাপড় বিক্রি করে প্রায় ২৫ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন জীবন যুদ্ধ।
২৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন নকশিকাঁথা ও পোশাক সেলাইয়ের কাজ। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে ভাগ্যের চাকা। প্রায় কয়েক বছর পর সেই টাকা গিয়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজারে। সেলিনা আক্তার হয়ে ওঠেন সফল উদ্যোক্তা।
কিন্তু হঠাৎ করেই মরণঘাতী করোনা থামিয়ে দেয় সেলিনার ভাগ্যের চাকা। দুবছর অনেক কষ্টে পার করলেও করোনা শেষে ফের ভাগ্য বদলে যায় সেলিনা আক্তারের। তার সাথে ভাগ্য বদলাতে শুরু করছে আশপাশের নারীদের। বর্তমানে সেলিনা আক্তারের নকশীকাঁথা সেলাই কারখানায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
সফল নারী উদ্যোক্তা সেলিনা আক্তার বলেন, স্বামীর আয়ে আমাদের সংসার চালাতে ও মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ জোগাতে খুব কষ্ট হতো। তাই ভাইয়ের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে এই নকশীকাঁথা সেলাইয়ের কাজ শুরু করি। বর্তমানে বাড়িতে বসে এ কাজ করতে পারি। দূরে কোথাও যেতে হয় না। আমার নকশীকাঁথা সেলাই কারখানায় অনেক নারী শ্রমিক কাজ করেন। আমার মতো অনেকের ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে।
ভোলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সেলিনা আক্তারের মতো উদ্যোক্তা আমাদের দেশের জন্য গর্ব। আমরা চাই তার দেখাদেখি অন্যরাও যাতে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। তাদের সফলতা অর্জনে আমাদের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য