-->
শিরোনাম
ছোট যমুনা নদী

রাবার ড্যাম নির্মাণে সেচ সুবিধা পাবে কয়েক হাজার একর জমি

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
রাবার ড্যাম নির্মাণে সেচ সুবিধা পাবে কয়েক হাজার একর জমি
ফুলবাড়ী থেকে বিরামপুর পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদী

ফুলবাড়ী থেকে বিরামপুর পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীটি খনন করা এখন সময়ের দাবি। ভাটি এলাকার জানিপুরে রাবার ড্যাম নির্মাণ করলে কয়েক হাজার একর জমি চৈত্র মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবে। যমুনা নদীটি দেড়শ বছর ধরে খনন না করায় নদীর উপরের অংশে পলি জমে গেছে। চৈত্র মৌসুমে এই নদীতে আর কোনো পানিই থাকে না, ধু ধু বালুচরে পরিণত হয়। চর এলাকায় স্থানীয় লোকজনেরা তখন সেখানে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেন।

 

বর্তমান নদীটি খনন না করার ফলে নদীটি এখন মরা নদী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকার দেশের নদীগুলোকে খনন করে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। কিন্তু ফুলবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীটি খননের কোনো উদ্যোগ নেই। শিবনগর, খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর দুই ধার রক্ষার্থে বøক দিয়ে তা প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু ফুলবাড়ী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনাজপুর কোনো কাজ করছে না। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী এলাকার কৃষকদের শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

 

অপরদিকে নদীটি খনন করে ভাটি এলাকার ঘাটপাড়া যমুনা নদীর ওপর রাবার ড্যাম নির্মাণ করলে সারা বছর এই যমুনা নদীতে পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব। আর এই পানি দিয়ে কৃষকেরা শত শত বিঘা জমি চাষাবাদ করতে পারবে। কিন্তু কবে নাগাদ এই রাবার ড্যাম নির্মাণ হবে এলাকাবাসী তা বলতে পারে না। সারা বছর পানি ধারণ থাকলে মৎস্যজীবীরা মাছ চাষও করতে পারবে এবং তাদেরও জীবন-জীবিকার পথ প্রশস্ত হবে। মাছ চাষিরা এখন বেকার হয়ে পড়েছে। কেননা এই নদীতে কোথাও পানি থাকে না।

 

এলাকাবাসী বহুবার রাবার ড্যাম নির্মাণের জন্য এবং নদীটি খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের বারবার বলা সত্তে¡ও এই এলাকার ছোট যমুনা নদীটি খনন কল্পে ও রাবার ড্যাম নির্মাণে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলেও আবার পানি নেমে গেলে পুনরায় চর জেগে ওঠে। এই নদীর পানি সংরক্ষণ করতে পারলে একদিকে যেমন কৃষকেরা লাভবান হবে অন্যদিকে মাছ চাষিরাও লাভবান হবে।

 

এক শ্রেণির লোকজন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে চাষিদের জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন জানলে মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও আবারও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নদীটি সংস্কার করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ পানিসম্পদ মন্ত্রী ও স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

বিরামপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার যেকোনো একটি স্থানে রাবার ড্যাম স্থাপন করলে দুটি উপজেলার কৃষকেরা লাভবান হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version