যশোরে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত হলো বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক পদ্মনাভ অধিকারীর ৬৬তম জন্মদিন। বহুমাত্রিক ডটকম এর যশোর অফিস ও মধুসুধন পদ্মনাভ অধিকারী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব যশোরের মিলনায়তনে এ আনুষ্ঠানিকতায় কবিকে নিবেদিত কবিতা, প্রকাশিত গ্রন্থের ওপর আলোচনা ও গুণীজন বক্তৃতায় কবির বর্ণাঢ্য সাহিত্য জীবনকে তুলে ধরা হয়।
যশোর সরকারি এম এম কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইতিহাস গবেষক ও বহুমাত্রিক ডটকম এর প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সদস্য সুশান্ত রঞ্জন রায়।
মধুসূদন-পদ্মনাভ ফাউন্ডেশনের মুস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন-কবি আশামণি, কবি সাধন কুমার অধিকারী, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ হায়দার আলী, সাংবাদিক নেতা শহিদ জয়, কবি নাঈম নাজমুল, নাট্যকার হাসান হাফিজুর রহমান, কবি সাইফুদ্দিন সাইফুল, তরুণ কলামিস্ট হায়দার জিতুসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বহুমাত্রিক ডটকম এর নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর কাজী রাকিবুল ইসলাম।
নিভৃতচারী গবেষক ও কবি পদ্মনাভ অধিকারীর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন অনেক লেখকদের দেখতে পাই, যাঁরা যা লেখেন তা নিজেই বিশ্বাস করেন না কিংবা প্রতিপালন করেন না। কিন্তু আমরা মুগ্ধ হয়ে লক্ষ্য করি একজন পদ্মনাভ অধিকারী কি অসাধারণ দৃঢতায় নিজের চিন্তা ও সাহিত্যকর্মকে নিজের জীবনের অনুষঙ্গ করে তুলেছেন! সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চাকে তিনি কিভাবে সাধনা হিসেবে গ্রহণ করে জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারেন-এই দৃষ্টান্ত বোধহয় সমকালীন সাহিত্য পরিমণ্ডলে কমই দেখা যাবে।’
‘সাহিত্যচর্চা ও গবেষণাকে জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে গ্রহণ করা পদ্মনাভ অধিকারী’ যোগ্য সম্মান আজও পাননি উল্লেখ করে বহুমাত্রিক ডটকম এর প্রধান সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমাদের দায় রয়েছে পদ্মনাভ অধিকারীর মতো উৎসর্গপ্রাণ সাহিত্যসেবীর যথাযোগ্য সম্মান প্রদানে সচেষ্ট হওয়া। কেননা এমন মহান লেখকদের সম্মান জানাতে না পারলে এই সমাজে গুণীর জন্ম হবে না। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যিক পরম্পরাকে এগিয়ে নিতেই তাদের মতো গুণী কবিদের পাশে দাঁড়ানো আজ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সমাজে ক্রমবিবর্তনের যে দৃশ্যপট, বৈষম্য ও বঞ্চনার যে আখ্যান তা পদ্মনাভ অধিকারীর মতোই কবির লেখনিতেই মূর্ত হয়ে উঠে। কিন্তু আজ সত্য ও সুন্দরের উপাসক এই নিভৃতচারী সাহিত্যসেবীদের নিদারুণ অবহেলায় জীবন কাটাতে হয়, এটি আমাদের কাম্য নয়। সমাজকে পথ দেখানো প্রগতির প্রতীক এই কবি পদ্মনাভ অধিকারীর জন্মদিনে তাই আমাদের সংকল্প হবে সাহিত্যের মানুষেরা যেন জীবদ্দশাতেই তাদের যোগ্য সম্মান লাভ করেন।’
মন্তব্য